বহুল আলোচিত ২১শে আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলার বিচার কার্যক্রম শেষ হয়েছে। আগামী ১০ই অক্টোবর এ মামলায় রায় ঘোষণা করবে আদালত। যুক্তিতর্ক শেষে ঢাকার এক নম্বর দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক শাহেদ নূর উদ্দিন রায়ের এই দিন ঘোষণা করেন।
এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানিয়েছেন ঢাকা থেকে মতিউর রহমান চৌধুরী।
জামিনে থাকা পুলিশের সাবেক তিন আইজিসহ আট আসামির জামিন বাতিল করে তাদের কারাগারে পাঠানোরও আদেশ দেন বিচারক। ১৪ বছর আগে বঙ্গবন্ধু এভিনিউতে আওয়ামী লীগের সমাবেশে গ্রেনেড হামলা চালিয়ে ২৪ জনকে হত্যা করা হয়। এ মামলায় আসামীরা সর্বোচ্চ সাজা পাবেন বলে আশা প্রকাশ করেছেন রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী মোশাররফ হোসেন কাজল।
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান, সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবরসহ ৪৯ জন আসামির বিরুদ্ধে রায় ঘোষণা করবে আদালত। আসামিদের মধ্যে ১৮ জন পলাতক। কারাগারে রয়েছেন ২৩ জন। মামলায় রাষ্ট্রপক্ষে ২২৫ জন সাক্ষী আদালতে সাক্ষ্য দেন। ২০০৪ সালের ২১শে আগস্ট বঙ্গবন্ধু এভিনিউতে দলীয় কার্যালয়ের সামনে আওয়ামী লীগের সমাবেশে গ্রেনেড হামলা চালানো হয়। সমাবেশে প্রধান অতিথি ছিলেন আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা। গ্রেনেড হামলায় আওয়ামী লীগের তৎকালীন মহিলা বিষয়ক সম্পাদিকা আইভী রহমানসহ ২৪ জন নিহত এবং কয়েকশ’ আহত হন। বিএনপি নেতৃত্বাধীন জোট সরকারের সময় এ মামলার তদন্ত নিয়ে বিতর্ক তৈরি হয়। বিগত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে এ মামলায় জঙ্গি নেতা মুফতি হান্নানসহ ২২ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দেয়া হয়। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর ফের অধিকতর তদন্ত করা হয়। এসময় আসামি তালিকায় যুক্ত হয় তারেক রহমানসহ আরো ৩০ জনের নাম। রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে তারেক রহমানকে এ মামলায় জড়ানো হয়েছে বলে দাবি করে আসছে বিএনপি।