অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

সাবমেরিন চুক্তি বাতিল করে অস্ট্রেলিয়া 'বড় ভুল' করেছে, বলেছেন ফরাসি দূত


ছবির ডুবোজাহাজটি হচ্ছে, সাবমেরিন ইউএসএস ইলিনয়। অস্ট্রেলিয়া যুক্তরাষ্ট্রের পরমাণু শক্তি চালিত সাবমেরিনে বিনিয়োগ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে এবং ফ্রান্সের সাথে ডিজেল-বৈদ্যুতিক সাবমেরিন তৈরির চুক্তি বাতিল করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ছবি-এপি
ছবির ডুবোজাহাজটি হচ্ছে, সাবমেরিন ইউএসএস ইলিনয়। অস্ট্রেলিয়া যুক্তরাষ্ট্রের পরমাণু শক্তি চালিত সাবমেরিনে বিনিয়োগ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে এবং ফ্রান্সের সাথে ডিজেল-বৈদ্যুতিক সাবমেরিন তৈরির চুক্তি বাতিল করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ছবি-এপি

শনিবার ক্যানবেরায় ফ্রান্সের রাষ্ট্রদূত বলেছেন, অস্ট্রেলিয়া যুক্তরাষ্ট্র ও ব্রিটেনের সঙ্গে বিকল্প চুক্তি অনুকুলে , ফরাসি সাবমেরিনের জন্য বহু বিলিয়ন ডলারের অর্ডার বাতিল করে কুটনৈতিক ভাবে "বিশাল" ভুল করেছে।

ক্যানবেরা বৃহস্পতিবার ঘোষণা করেছে যে তারা ফ্রান্সের নেভাল গ্রুপের সাথে ২০১৬ সালের চুক্তি বাতিল করে দেবে, যে চুক্তিতে একটি প্রচলিত ডুবোজাহাজের বহর তৈরি করার কথা ছিল এবং তার পরিবর্তে ত্রিপক্ষীয় নিরাপত্তা অংশীদারিত্বের অধীনে যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের প্রযুক্তির সাহায্যে কমপক্ষে আটটি পারমাণবিক শক্তি চালিত সাবমেরিন তৈরি করবে।

এই পদক্ষেপের ফলে যুক্তরাষ্ট্র ও ব্রিটেনের নেটো মিত্র ফ্রান্সে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়, যা ওয়াশিংটন এবং ক্যানবেরা থেকে ফ্রান্সের দূতদের ডেকে পাঠাতে প্ররোচিত করে এবং এটি ইন্দো-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের প্রধান উত্থানকারী শক্তি চীনকেও ক্ষুব্ধ করেছে।

মালয়েশিয়া শনিবার বলেছে যে ক্যানবেরার পরমাণু চালিত ডুবোজাহাজ তৈরির সিদ্ধান্ত আঞ্চলিক পারমাণবিক অস্ত্র প্রতিযোগিতার সূচনা করতে পারে, একই উদ্বেগ ইতিমধ্যে দেখা গেছে বেইজিংয়েও।

মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় চীনের নাম উল্লেখ না করে বলেছে, "এটি অন্যান্য শক্তিকে এই অঞ্চলে, বিশেষ করে দক্ষিণ চীন সাগরে আরও আক্রমণাত্মক আচরণ করতে উস্কে দেবে।"

এই অঞ্চলে বেইজিং’ এর পররাষ্ট্রনীতি ক্রমশ দৃঢ় হয়ে উঠেছে, বিশেষ করে সম্পদ সমৃদ্ধ দক্ষিণ চীন সাগরে চীনের সামুদ্রিক দাবি, যার মধ্যে কিছু মালয়েশিয়ার নিজস্ব দাবির সাথে বিরোধ রয়েছে।

ফ্রান্সের রাষ্ট্রদূত জিন -পিয়েরে থিবল্ট প্যারিসে ফিরে যাবার আগে ক্যানবেরায় সাংবাদিকদের বলেন, "এটি একটি বড় ভুল হয়েছে, অংশীদারিত্বের ব্যবস্থাপনাটা একটি খুব, খুব খারাপ হয়েছে, কারণ এটি কেবল একটি চুক্তি ছিল না, এটি একটি অংশীদারিত্ব ছিল যা আস্থা, পারস্পরিক বোঝাপড়া এবং আন্তরিকতার উপর ভিত্তি করে তৈরি হওয়ার কথা ছিল।

ফ্রান্স ইতিপূর্বে চুক্তিটি বাতিল করা সম্পর্কে বলেছিল এটি পিঠে ছুরিকাঘাত। ২০১৬ সালে যার মূল্য ছিল ৪০০০ কোটি টাকা এবং আজকে এর মূল্য অনেক বেশি বলে মনে করা হয়।

যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দফতরের মুখপাত্র নেড প্রাইস বলেছেন, ফ্রান্স একটি 'গুরুত্বপূর্ণ মিত্র' এবং যুক্তরাষ্ট্র আগামী দিনগুলোতে মত পার্থক্যগুলো নিষ্পত্তির জন্য কাজ করবে।

অস্ট্রেলিয়া বলেছে, অস্ট্রেলিয়া থেকে ফ্রান্স তাদের ফরাসি রাষ্ট্রদূতকে প্রত্যাহার করে নেয়ার জন্য অস্ট্রেলিয়া দুঃখিত এবং তাঁরা ফ্রান্সের সাথে তাদের সম্পর্ককে মূল্য দেয় । অস্ট্রেলিয়া অন্যান্য বিষয়ে প্যারিসের সাথে সম্পৃক্ত থাকবে।

XS
SM
MD
LG