অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

সারাদেশে কড়া লকডাউন শুরু; একদিনে রেকর্ড মৃত্যু ১৪৩


সারাদেশে কড়া লকডাউন শুরু
সারাদেশে কড়া লকডাউন শুরু

অন্য যে কোনো সময়ের তুলনায় এই লকডাউন কড়া। বিনা কাজে কেউ বের হতে পারছেন না। এবারের চিত্রটা সম্পূর্ণ আলাদা। ঢাকায় জন-কোলাহল নেই। নেই চিরচেনা যানজট।

কড়া লকডাউন সরজমিনে দেখতে গিয়ে রাজধানীতে পুলিশের জালে ধরা পড়লেন কয়েকশ মানুষ। তারা সবাই অযথা ঘোরাঘুরি করছিলেন। পুলিশের জেরায় তারা লা-জওয়াব। পরিণতিতে পুলিশের হেফাজত খানায়।

অন্য যে কোনো সময়ের তুলনায় এই লকডাউন কড়া। বিনা কাজে কেউ বের হতে পারছেন না। এবারের চিত্রটা সম্পূর্ণ আলাদা। ঢাকায় জন-কোলাহল নেই। নেই চিরচেনা যানজট। বিশেষ প্রয়োজন ছাড়া কেউ গাড়িও বের করতে পারছেন না। মুভমেন্ট পাস না থাকায় অপব্যবহারের সুযোগও কম। বলা চলে, রাজপথ একদম ফাঁকা। অলি-গলিতে দু' একটা রিকশা দেখা গেছে। অ্যাম্বুলেন্স চলছে বিনা বাঁধায়।

সারাদেশে কড়া লকডাউন শুরু
সারাদেশে কড়া লকডাউন শুরু

অন্য সময় ঘণ্টার পর ঘণ্টা যানজটে আটকা থাকতে হয়। কাঁচাবাজারগুলো খোলা ছিল। তবে জন-উপস্থিতি কম। সকাল আটটা থেকে বিকেল পাঁচটা পর্যন্ত কাঁচাবাজার খোলা ছিল। অফিস-আদালত, কোর্ট-কাছারি বন্ধ থাকায় সরকারি গাড়িও দেখা গেছে হাতেগোনা। সেনা টহলে লকডাউনে নতুন মাত্রা যোগ হয়েছে।বিজিবি, পুলিশ ছিল খুবই সক্রিয়। হাসপাতালগুলোর সামনে জটলা ছিল না।

টিকা দিতে না পারায় কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে বেশ কিছু প্রবাসী বাংলাদেশি বিক্ষোভ করেছেন। তাদের অভিযোগ, সময়মতো টিকা না পাওয়ায় তারা বিদেশ যেতে পারছেন না। ভিসার মেয়াদও ফুরিয়ে যাচ্ছে। বলা হয়েছিল, প্রবাসীরা আগে টিকা পাবেন। বাস্তবে সেটা ঘটেনি।

দুই মাস বন্ধ থাকার পর লকডাউনের মধ্যে গণটিকাদান শুরু হয়েছে। সব মেডিকেল কলেজ, জেলা হাসপাতাল ও সদর হাসপাতালে সিনোফার্মের টিকা দেয়া হচ্ছে। ফাইজারের টিকা দেয়া হচ্ছে ঢাকার সাতটি কেন্দ্রে।

পোশাক কারাখানা চালু রয়েছে। তবে পায়ে হেঁটে শ্রমিকরা কারখানায় যাচ্ছেন। শ্রমিকদের অভিযোগ, সবকিছুই যখন বন্ধ তখন তাদের কারখানায় যেতে কেন বাধ্য করা হচ্ছে। উল্লেখ্য যে, করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার জন্যই এই লকডাউন।

সংক্রমণ ও মৃত্যু বাড়ছে জ্যামিতিক হারে। গত ২৪ ঘণ্টায় ১৪৩ জন মারা গেছেন। এটাই সর্বোচ্চ মৃত্যুর রেকর্ড। এর আগে ১১৯ জন মারা গিয়েছিলেন। একই সময় আক্রান্ত হয়েছেন আট হাজার ৩০১ জন।

সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, অনিবার্য প্রয়োজনেই এই লকডাউন।

খুলনায় একদিনে ৩৯ জন মারা গেছেন। রাজশাহী মেডিকেলে মারা গেছেন ২২ জন। টাঙাইলে ১৬ জন। সাতক্ষীরায় অক্সিজেন সংকট তীব্র। জেলা সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মদ হুসায়েত সাফায়াত স্বীকার করেছেন, অক্সিজেনের প্রেসার কম থাকায় ছয় জন মারা গেছেন। এ ব্যাপারে তিন সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে।

খুলনায় জীবাণু ঢুকে পড়ায় পিসিআর ল্যাব অকেজো হয়ে গেছে। এজন্য নমুনা পরীক্ষা বন্ধ। করোনা মোকাবিলায় বাংলাদেশকে ৯০ কোটি টাকা দেবে সুইজারল্যান্ড।

XS
SM
MD
LG