বাংলাদেশ-ভারত সীমান্ত বন্ধ থাকলেও অবৈধ যাতায়াত ঠিকই চলছে। যে কারণে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ দ্রুত গতিতে বাড়ছে। বিশেষ করে সীমান্তবর্তী জেলাগুলোতে।
দু'দেশের সীমান্ত আরও ১৪ দিন বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত হয়েছে। ২৬শে এপ্রিল থেকে দু'দেশের সীমান্ত বন্ধ রয়েছে। স্বাস্থ্য দপ্তরের মুখপাত্র অধ্যাপক রোবেদ আমিন জানান, তারা এখন অনেকটাই নিশ্চিত, অবৈধ যাতায়াতের কারণে করোনা পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে। তিনি বলেন, যারা বৈধভাবে আসে তাদেরকে কোয়ারেন্টিনে নেয়া হয়। কিন্তু যারা অবৈধ পথে আসছে তাদের খোঁজ রাখা সম্ভব হয় না। এই অনুপ্রবেশ বন্ধ করা না গেলে সমস্যা আরও তীব্র হতে পারে।
ওদিকে সীমান্তবর্তী জেলাগুলোর সার্বিক পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে সাতটি জেলায় বিশেষ লকডাউন দেয়ার সুপারিশ করেছে স্বাস্থ্য দপ্তরের বিশেষজ্ঞ কমিটি। জেলাগুলো হচ্ছে- নাটোর, নওগাঁ, সাতক্ষীরা, যশোর, রাজশাহী, কুষ্টিয়া ও খুলনা। গত ২৪শে মে চাঁপাই নবাবগঞ্জে বিশেষ লকডাউন ঘোষণা করা হয়। এই লকডাউনকালে দোকানপাট ও যানবাহন সম্পূর্ণ বন্ধ রয়েছে।
সাতক্ষীরা পরিস্থিতির ওপর নজর রাখছেন স্থানীয় সাংবাদিক ইয়ারব হোসেন। তার মতে, পরিস্থিতি দ্রুত অবনতির দিকে। সীমান্ত বন্ধ রয়েছে ঠিকই, কিন্তু যাতায়াত বন্ধ নেই।
ফাইজারের এক লাখ ৬২০ ডোজ টিকা আজ আসার কথা ছিল। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বলছে, টিকা আসতে আরও কয়েকদিন বিলম্ব হবে।
সর্বশেষ, স্বাস্থ্য দপ্তরের তরফে এক সংবাদ ব্রিফিংয়ে বলা হয়েছে, বাংলাদেশে এখন পর্যন্ত ২৭টি ইউকে ভ্যারিয়েন্ট, ৮৫টি সাউথ-আফ্রিকান, পাঁচটি নাইজেরিয়ান ও ২৩টি ইন্ডিয়ান ভ্যারিয়েন্ট পাওয়া গেছে।
চলমান বিধি-নিষেধের মেয়াদ আরও বাড়ানো হয়েছে। রোববার বলা হয়েছে, এই বিধি-নিষেধ ৬ই জুন পর্যন্ত চলবে। জনপ্রসাশন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন জানান, সংক্রমণ পাঁচ শতাংশের নিচে না আসা পর্যন্ত লকডাউন চলবে।
গত ২৪ ঘণ্টায় করোনাভাইরাসে ৩৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। আক্রান্ত হয়েছেন এক হাজার ৪৪৪ জন। ঢাকা থেকে মতিউর রহমান চৌধুরী