হাইতি কর্তৃপক্ষ বলছে সেখানে শনিবারের ভয়াবহ ভূমিকম্পে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১২৯৭ জন।
হাইতির সিভিল প্রটেকশন সার্ভিস জানিয়েছে ভূমিকম্পে আহতদের সংখ্যা ৫৭০০ জন। হাসপাতালগুলো আহতদের চিকিৎসা দিতে হিমশিম খাচ্ছে।
শনিবারের ৭.২ মাত্রার ভূমিকম্পের পর থেকে কর্তৃপক্ষ উদ্ধার অভিযান অব্যাহত রেখেছে। যুক্তরাষ্ট্রের ভূতত্ত্ব জরিপের তথ্য অনুযায়ী ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল ছিল রাজধানী পোর্ট-অ-প্রিন্সের ১২৫ কিলোমিটার পশ্চিমের শহর পেটিট-ট্র-দে-নিপ্সের ১০ কিলোমিটার গভীরে।
ভূমিকম্পে দেশটির দক্ষিণ-পশ্চিম অংশে বহু ঘরবাড়ী, রাস্তা ও সেতু বিধ্বস্থ হয় এবং হাজার হাজার মানুষ ঘরবাড়ী হারান।
রবিবার হাইতির প্রধানমন্ত্রী এরিয়েল হেনরি বলেন, “এই অত্যন্ত গুরুতরো পরিস্থিতি দ্রুত সামাল দিতে আমাদেরকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে”। শনিবার তিনি ভূমিকম্পে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্থ এলাকা লেস কেয়েস দেখতে যান।
ভূমিকম্পের আঘাতের পরপরই হাইতির উপকূল জুড়ে গ্রীষ্মমণ্ডলীয় ঝড়ের পূর্বাভাস জারি করা হয়েছে যা ডমিনিকান রিপাবলিকেও আঘাত হানতে পারে।
যুক্তরাষ্ট্রের National Hurricane Center বলছে সোমবার নাগাদ ঝড়টি হিস্পানিওলা হয়ে ১০-২০ সেন্টিমিটার বৃষ্টিপাতের সঙ্গে হাইতি ও ডমিনিকান রিপাবলিকের দিকে যেতে পারে।
রবিবার যুক্তরাষ্ট্রের আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থা ইউএসএআইডি’র প্রশাসক সামান্থা পাওয়ার বলেছেন দুর্যোগ মোকাবেলায় সহায়তার লক্ষ্যে যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে যন্ত্রপাতি ও চিকিৎসা সরঞ্জামসহ ৬৫-সদস্যের একটি উদ্ধারকারী দল নিযুক্ত করা হয়েছে।
হাইতিতে নিযুক্ত ইউনিসেফের প্রতিনিধি ব্রুনো মায়েস রয়টার্সকে বলেছেন জাতিসংঘ হাইতিতে মানবিক কার্যক্রমের আহবান জানিয়েছেন যাতে মানুষ এবং মালামাল দ্রুত এবং নিরাপদে সরিয়ে নেয়া যায়।
(রিপোর্টটির কিছু তথ্য এপি, রয়টার্স ও এএফপি থেকে নেয়া)