হাইতিতে ভয়াবহ ভূমিকম্পের পর পরই আঘাত হেনেছে গ্রিস্মমন্ডলিয় ঝড়। ভূমিকম্পে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৪১৯ জন। আহত হয়েছেন ৬ হাজারেরও বেশি মানুষ। তাঁদেরকে চিকিৎসা দিতে হিমশিম খাচ্ছে হাসপাতালগুলো।
আবহাওয়াবিদরা আশংকা করছেন মঙ্গলবার দক্ষিণ হাইতিতে ১২ থেকে ২৫ সেন্টিমিটার বৃষ্টিপাত হতে পারে যা বন্যা ও ভূমিধ্বসের সৃষ্টি করতে পারে।
এর ফলে দেশটির দক্ষিণাঞ্চলে শনিবারের ৭.২ মাত্রার ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্থ এলাকায় উদ্ধার কাজ ব্যাহত হতে পারে।
যুক্তরাষ্ট্রের ভূতত্ত্ব জরিপের তথ্য অনুযায়ী ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল ছিল রাজধানী পোর্ট-অ-প্রিন্সের ১২৫ কিলোমিটার পশ্চিমের শহর পেটিট-ট্র-দে-নিপ্সের ১০ কিলোমিটার গভীরে।
ভূমিকম্পে দেশটির দক্ষিণ-পশ্চিম অংশে বহু ঘরবাড়ী, রাস্তা ও সেতু বিধ্বস্থ হয় এবং হাজার হাজার মানুষ ঘরবাড়ী হারান।
রবিবার হাইতির প্রধানমন্ত্রী এরিয়েল হেনরি বলেন, “এই অত্যন্ত গুরুতরো পরিস্থিতি দ্রুত সামাল দিতে আমাদেরকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে”। শনিবার তিনি ভূমিকম্পে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্থ এলাকা লেস কেয়েস দেখতে যান।
নব্বই হাজার জনসংখ্যা অধ্যুষিত দেশের তৃতীয় বৃহত্তম শহর লেস কেয়েসের বেশিরভাগ মানুষ খোলা আকাশের নিচে রাত কাটাচ্ছেন।