অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

বাংলাদেশের নাগরিকদের ব্রিটেনে প্রবেশের নতুন শর্ত 


বাংলাদেশের গণ টিকাদান কর্মসূচীর সময় ব্যবহৃত টিকা। ফাইল ফটো- এএফপি
বাংলাদেশের গণ টিকাদান কর্মসূচীর সময় ব্যবহৃত টিকা। ফাইল ফটো- এএফপি

নতুন শর্তে আবারও আটকে গেল বাংলাদেশের মানুষের জন্য ব্রিটেনের দরজা। ২২শে সেপ্টেম্বর ভোর চারটা থেকে বাংলাদেশ আর লাল তালিকাভুক্ত থাকছে না। কিন্তু ভ্যাকসিন জটিলতা নতুন সংকট তৈরি করেছে।

ব্রিটেন বলেছে, ভারতের কোভিশিল্ড ভ্যাকসিন এখনো অনুমোদন পায়নি। তাই এই ভ্যাকসিন নিয়ে ব্রিটেনে দশদিন কোয়ারেন্টিনে থাকা ছাড়া প্রবেশ সম্ভব নয়। বাংলাদেশে ব্যবহৃত হয়েছে অ্যাস্ট্রাজেনেকার ফর্মুলা নিয়ে তৈরি ভারতের কোভিশিল্ড ভ্যাকসিন।

ব্রিটেনের এই সিদ্ধান্তে ভারত ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছে। লন্ডনস্থ বাংলাদেশ হাইকমিশন জানিয়েছে, আগামী ৪ঠা অক্টোবর ভ্রমণবিষয়ক নতুন নির্দেশনা জারি করতে যাচ্ছে ব্রিটেনের ট্রান্সপোর্ট ডিপার্টমেন্ট। ওই ঘোষণা না আসা পর্যন্ত বাংলাদেশের নাগরিকদের অপেক্ষা করা উচিৎ। হাইকমিশনার সাইদা মুনা তাসনীম বলেছেন, ২২শে সেপ্টেম্বর থেকে ৪ঠা অক্টোবর পর্যন্ত দশদিনের গ্রেস পিরিয়ড রেখেছে ব্রিটিশ সরকার।

তারা আগেই জানিয়েছে, ২২শে সেপ্টেম্বর থেকে বৈধ ভিসাধারী বাংলাদেশের নাগরিকরা ব্রিটেনে প্রবেশ করতে পারবেন। এর মধ্যে যারা ব্রিটিশ সরকার অনুমোদিত ফাইজার, মডার্না, অ্যাস্ট্রাজেনেকা এবং জনসন এন্ড জনসন এই চার টিকার যে কোনো একটির পূর্ণ ডোজ গ্রহণ করেছেন তাদের দশদিন হোটেল কোয়ারেন্টিনে থাকতে হবে না। তাছাড়া তাদের দ্বিতীয় এবং অষ্টম দিনের করোনা টেস্টও বাধ্যতামূলক নয়। এছাড়া যারা অন্য টিকা গ্রহণ করেছেন তাদেরকে কোয়ারেন্টিনে থাকতে হবে। হাইকমিশনার বলেন, যারা ভারতীয় কিংবা চীনা টিকা নিয়েছেন তাদের উচিৎ সর্বশেষ নির্দেশনা না দেয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করা।

ওদিকে ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এস জয়শঙ্কর নবনিযুক্ত ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে নিউ ইয়র্কে এক বৈঠক করেছেন। এই বৈঠকে কোভিশিল্ডকে স্বীকৃতি দেয়ার অনুরোধ জানান।

উল্লেখ্য যে, শুক্রবার ব্রিটিশ সরকার নতুন করে ভ্রমণ নির্দেশিকা জারি করে। এতে ইউরোপ ও আমেরিকার বাইরে আরও ১৭টি দেশের যেসব নাগরিক করোনা ভ্যাকসিনের সবগুলো ডোজ নিয়েছেন তাদেরকে ‘ডাবল ভ্যাকসিনেটেড’ হিসেবে স্বীকৃতি দেয়। এই তালিকায় বাংলাদেশ, ভারতসহ দক্ষিণ এশিয়ার কোনো দেশের নামই নেই।

ভারতের পক্ষে বলা হয়েছে, তাদের তৈরি ভ্যাকসিন ব্রিটেনসহ বহু দেশে পাঠানো হয়েছে। ব্রিটেন তাদের অন্তত ৫০ লাখ নাগরিককে ভারতের তৈরি সেই ভ্যাকসিনই দিয়েছে। মেইড ইন ইন্ডিয়া কোভিশিল্ড ব্রিটেনে দেয়া হলে ক্ষতি নেই। অথচ একই জিনিস ভারতে দিলে মানা যাবে না, এটা কি ধরণের যুক্তি হতে পারে।

XS
SM
MD
LG