অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

ভারতের প্রযুক্তিভিত্তিক টিকাদান উদ্যোগ উদ্বেগের সৃষ্টি করেছে


ভারতের প্রযুক্তিভিত্তিক টিকাদান উদ্যোগ উদ্বেগের সৃষ্টি করেছে
ভারতের প্রযুক্তিভিত্তিক টিকাদান উদ্যোগ উদ্বেগের সৃষ্টি করেছে

ভারতের প্রযুক্তিভিত্তিক টিকাদান উদ্যোগ উদ্বেগের সৃষ্টি করেছে, দেশটির বিশাল ডিজিটাল বিভাজন, গ্রামাঞ্চলে টিকাদান কর্মসূচীকে কঠিন করে তুলছে।

ভারতের প্রযুক্তিভিত্তিক টিকাদান উদ্যোগ উদ্বেগের সৃষ্টি করেছে, দেশটির বিশাল ডিজিটাল বিভাজন, গ্রামাঞ্চলে টিকাদান কর্মসূচীকে কঠিন করে তুলছে। প্রযুক্তি সচেতন, ডিজিটাল সম্পর্কে জানা সচেতন নগরবাসী টিকা নিতে সক্ষম হচ্ছেন, আর প্রযুক্তিগত বাধার কারণে গ্রামাঞ্চলের লক্ষ লক্ষ মানুষ পিছিয়ে পড়েছেন।

উত্তর ভারতের কংরা জেলার একটি কেন্দ্রে যারা টিকা নিতে এসেছেন তারা টিকার জন্যে অনলাইনে স্লট বুক করতে পেরেছিলেন, কারণ তাদের স্মার্টফোন ছিল এবং CoWIN নামক অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে সেখানে কীভাবে নিবন্ধন করতে হবে তা জানতেন। আর করোনাভাইরাসের দ্বিতীয় ঢেউয়ে বিপর্যস্ত এই জেলাটির অনেকেই যারা টিকা নিতে চান অথচ নেট সংযোগ বা স্মার্টফোন নেই, তারা নিবন্ধন করতে পারেননি।

প্রযুক্তিতে অদক্ষ কংরা জেলার বাসিন্দা হরনাম সিং জানালেন, "আমার একটি সাধারণ ফোন আছে, তবে অন্য ফোন কীভাবে চালাতে হয় তাও জানি না"।

ভারতের প্রযুক্তিভিত্তিক টিকাদান উদ্যোগ উদ্বেগের সৃষ্টি করেছে
ভারতের প্রযুক্তিভিত্তিক টিকাদান উদ্যোগ উদ্বেগের সৃষ্টি করেছে

ভারতে ১৮ থেকে ৪৫ বছর বয়সীদের টিকা নেয়ার জন্যে অনলাইন নিবন্ধন বাধ্যতামূলক করার সমালোচনা হয় এবং সমালোচকরা বলেন এই প্রক্রিয়ায় গ্রামাঞ্চলের লাখ লাখ মানুষ বাদ পড়ে যাবে। এর ফলে ভারত সরকার সবাইকে টিকা নেয়ার নিবন্ধন করতে সরাসরি কেন্দ্রে যাবার অনুমতি দিয়েছেন।

মনোজ শর্মা নামের এই ভারতীয় বুঝতে পেরেছেন যে প্রযুক্তি সচেতনরা টিকা পাবার ক্ষেত্রে সুবিধা পাচ্ছেন। কারণ টিকা সংকটের কারণে যারা সশরীরে টিকাদান কেন্দ্রে যাচ্ছেন তাঁদের মধ্য হতে সীমিত সংখ্যক টিকা পাচ্ছেন, অন্যদিকে অনলাইনে নিবন্ধনকারীদের টিকা নিশ্চিত করা হচ্ছে। সেই কারণে মনোজ শর্মা এখনও মরিয়া হয়ে তার বন্ধুদের কাছে তাঁর জন্য একটি অনলাইন স্লট বুক করতে বলছেন।

"সরকারের উচিত এই প্রক্রিয়াটি আমাদের জন্য সহজ করা। আমি সারাদিন গাড়ি চালাচ্ছি এবং জরুরি পরিষেবা দিচ্ছি”।

ভারতের প্রযুক্তিভিত্তিক টিকাদান, গ্রামাঞ্চলে টিকাদান কর্মসূচীকে কঠিন করে তুলছে
ভারতের প্রযুক্তিভিত্তিক টিকাদান, গ্রামাঞ্চলে টিকাদান কর্মসূচীকে কঠিন করে তুলছে

প্রযুক্তি না জানা লোকদেরকে বাধ্য হয়ে সাহায্যের জন্য এখানে আসতে হচ্ছে। একটি টিকাদান কেন্দ্রের প্রধান বিজয় কাপুর বলেন, "এটি একটি সমস্যা, কারণ গ্রামের অনেক লোক খুব একটা শিক্ষিত নন, অনেকের স্মার্টফোন নেই, এবং অনলাইন প্রক্রিয়া নিয়ে হিমশিম খান”।

এমনকি বিবেক চাঁদের মতো স্মার্ট ফোনওয়ালা গ্রামীণ বাসিন্দারাও ইন্টারনেট সংযোগের সমস্যার কারণে অনলাইনে টিকা নেয়ার জন্যে নিবন্ধন কারাটাকে চ্যালেঞ্জ বলে মনে করেন। আশেপাশের শহরগুলিতে লোকেরা টিকার স্লটগুলি দ্রুত পূরণ করে নেন।

বিবেক চাঁদ, হাঁস-মুরগি খামার করেন, তিনি বললেন, "আমি নিবন্ধন করলেও টিকা নেয়ার জন্যে খুব কাছাকাছি কোন কেন্দ্র খুঁজে পাচ্ছি না। আজ একমাত্র জায়গা যেখানে ভ্যাকসিন পাওয়ার সম্ভাবনা আছে, তা কয়েক মাইল দূরে। এমনকি সেই জায়গাও ৪৫ বছরের বেশি বয়সীদের জন্যে সীমাবদ্ধ"।

এই জাতীয় চ্যালেঞ্জগুলির ফলে গ্রামাঞ্চলের কাছাকাছি জায়গাগুলোতে টিকাদান কর্মসূচী বেশি বেশি পরিচালনা করার দাবি বেড়েছে। কারণ ভারতের দুই তৃতীয়াংশ মানুষের বাস গ্রামে।

ভারতের প্রযুক্তিভিত্তিক টিকাদান উদ্যোগ উদ্বেগের সৃষ্টি করেছে
ভারতের প্রযুক্তিভিত্তিক টিকাদান উদ্যোগ উদ্বেগের সৃষ্টি করেছে

লোক মিত্র কেন্দ্রের প্রধান বিজয় কাপুর বলেন, "টিকা দেয়ার জন্য প্রতিটি গ্রামে কেন্দ্র খোলা উচিত। এতে করে যে সমস্ত প্রতিবন্ধকতা রয়েছে তা দূর হবে"।

স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন যেহেতু ভ্যাকসিনের ঘাটতি আছে, তাই প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চলে টিকা দানকে অগ্রাধিকার দেয়া উচিত। পাবলিক হেলথ ফাউন্ডেশন অফ ইন্ডিয়ার প্রেসিডেন্ট কে শ্রী নাথ রেড্ডি বলেন, "আপনি যদি পর্যাপ্ত সংখ্যক লোককে টিকা না দেন , তবে সেখানে প্রচুর সংখ্যক ব্যক্তি ঝুঁকির মুখে থাকবে যাদের ভাইরাস বা কোনও নতুন প্রকরণ আক্রমণ করতে পারে। ভারতের নির্বাচনের সময়, আমরা প্রত্যন্ত অঞ্চলে ব্যালট বাক্সে পৌঁছানোর ব্যবস্থা করি, এমনকি গভীর বনের ভেতরেও। সেভাবে আমাদের উপায় খুঁজে বের করা দরকার যাতে আমরা সেখানে টিকা পৌঁছাতে পারি।"

ভারতের গ্রামবাসীরা এটিই চান। তারা চান করোনাভাইরাসের তৃতীয় ঢেউ থেকে রক্ষার জন্য একটি সহজলভ্য টিকা, যা ডাক্তাররা তাদেরকে বলে থাকেন, আসবে।

ভারতের প্রযুক্তিভিত্তিক টিকাদান উদ্যোগ উদ্বেগের সৃষ্টি করেছে, দেশটির বিশাল ডিজিটাল বিভাজন, গ্রামাঞ্চলে টিকাদান কর্মসূচীকে কঠিন করে তুলছে। প্রযুক্তি সচেতন, ডিজিটাল সম্পর্কে জানা সচেতন নগরবাসী টিকা নিতে সক্ষম হচ্ছেন, আর প্রযুক্তিগত বাধার কারণে গ্রামাঞ্চলের লক্ষ লক্ষ মানুষ পিছিয়ে পড়েছেন।

উত্তর ভারতের কংরা জেলার একটি কেন্দ্রে যারা টিকা নিতে এসেছেন তারা টিকার জন্যে অনলাইনে স্লট বুক করতে পেরেছিলেন, কারণ তাদের স্মার্টফোন ছিল এবং CoWIN নামক অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে সেখানে কীভাবে নিবন্ধন করতে হবে তা জানতেন।

আর করোনাভাইরাসের দ্বিতীয় ঢেউয়ে বিপর্যস্ত এই জেলাটির অনেকেই যারা টিকা নিতে চান অথচ নেট সংযোগ বা স্মার্টফোন নেই, তারা নিবন্ধন করতে পারেননি।

প্রযুক্তিতে অদক্ষ কংরা জেলার বাসিন্দা হরনাম সিং জানালেন,

"আমার একটি সাধারণ ফোন আছে, তবে অন্য ফোন কীভাবে চালাতে হয় তাও জানি না"

ভারতে ১৮ থেকে ৪৫ বছর বয়সীদের টিকা নেয়ার জন্যে অনলাইন নিবন্ধন বাধ্যতামূলক করার সমালোচনা হয় এবং সমালোচকরা বলেন এই প্রক্রিয়ায় গ্রামাঞ্চলের লাখ লাখ মানুষ বাদ পড়ে যাবে। এর ফলে ভারত সরকার সবাইকে টিকা নেয়ার নিবন্ধন করতে সরাসরি কেন্দ্রে যাবার অনুমতি দিয়েছেন।

মনোজ শর্মা নামের এই ভারতীয় বুঝতে পেরেছেন যে প্রযুক্তি সচেতনরা টিকা পাবার ক্ষেত্রে সুবিধা পাচ্ছেন। কারণ টিকা সংকটের কারণে যারা সশরীরে টিকাদান কেন্দ্রে যাচ্ছেন তাঁদের মধ্য হতে সীমিত সংখ্যক টিকা পাচ্ছেন, অন্যদিকে অনলাইনে নিবন্ধনকারীদের টিকা নিশ্চিত করা হচ্ছে। সেই কারণে মনোজ শর্মা এখনও মরিয়া হয়ে তার বন্ধুদের কাছে তাঁর জন্য একটি অনলাইন স্লট বুক করতে বলছেন।

"সরকারের উচিত এই প্রক্রিয়াটি আমাদের জন্য সহজ করা। আমি সারাদিন গাড়ি চালাচ্ছি এবং জরুরি পরিষেবা দিচ্ছি”।

প্রযুক্তি না জানা লোকদেরকে বাধ্য হয়ে সাহায্যের জন্য এখানে আসতে হচ্ছে।

একটি টিকাদান কেন্দ্রের প্রধান বিজয় কাপুর বলেন,

"এটি একটি সমস্যা, কারণ গ্রামের অনেক লোক খুব একটা শিক্ষিত নন, অনেকের স্মার্টফোন নেই, এবং অনলাইন প্রক্রিয়া নিয়ে হিমশিম খান”।

ভারতের প্রযুক্তিভিত্তিক টিকাদান উদ্যোগ উদ্বেগের সৃষ্টি করেছে
ভারতের প্রযুক্তিভিত্তিক টিকাদান উদ্যোগ উদ্বেগের সৃষ্টি করেছে

এমনকি বিবেক চাঁদের মতো স্মার্ট ফোনওয়ালা গ্রামীণ বাসিন্দারাও ইন্টারনেট সংযোগের সমস্যার কারণে অনলাইনে টিকা নেয়ার জন্যে নিবন্ধন কারাটাকে চ্যালেঞ্জ বলে মনে করেন। আশেপাশের শহরগুলিতে লোকেরা টিকার স্লটগুলি দ্রুত পূরণ করে নেন।

বিবেক চাঁদ, হাঁস-মুরগি খামার করেন , তিনি বললেন,

"আমি নিবন্ধন করলেও টিকা নেয়ার জন্যে খুব কাছাকাছি কোন কেন্দ্র খুঁজে পাচ্ছি না। আজ একমাত্র জায়গা যেখানে ভ্যাকসিন পাওয়ার সম্ভাবনা আছে, তা কয়েক মাইল দূরে। এমনকি সেই জায়গাও ৪৫ বছরের বেশি বয়সীদের জন্যে সীমাবদ্ধ"

এই জাতীয় চ্যালেঞ্জগুলির ফলে গ্রামাঞ্চলের কাছাকাছি জায়গাগুলোতে টিকাদান কর্মসূচী বেশি বেশি পরিচালনা করার দাবি বেড়েছে। কারণ ভারতের দুই তৃতীয়াংশ মানুষের বাস গ্রামে।

লোক মিত্র কেন্দ্রের প্রধান বিজয় কাপুর বলেন,

"টিকা দেয়ার জন্য প্রতিটি গ্রামে কেন্দ্র খোলা উচিত। এতে করে যে সমস্ত প্রতিবন্ধকতা রয়েছে তা দূর হবে"

স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন যেহেতু ভ্যাকসিনের ঘাটতি আছে, তাই প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চলে টিকা দানকে অগ্রাধিকার দেয়া উচিত

পাবলিক হেলথ ফাউন্ডেশন অফ ইন্ডিয়ার প্রেসিডেন্ট কে শ্রী নাথ রেড্ডি বলেন,

"আপনি যদি পর্যাপ্ত সংখ্যক লোককে টিকা না দেন , তবে সেখানে প্রচুর সংখ্যক ব্যক্তি ঝুঁকির মুখে থাকবে যাদের ভাইরাস বা কোনও নতুন প্রকরণ আক্রমণ করতে পারে। ভারতের নির্বাচনের সময়, আমরা প্রত্যন্ত অঞ্চলে ব্যালট বাক্সে পৌঁছানোর ব্যবস্থা করি, এমনকি গভীর বনের ভেতরেও। সেভাবে আমাদের উপায় খুঁজে বের করা দরকার যাতে আমরা সেখানে টিকা পৌঁছাতে পারি।"

ভারতের গ্রামবাসীরা এটিই চান। তারা চান করোনাভাইরাসের তৃতীয় ঢেউ থেকে রক্ষার জন্য একটি সহজলভ্য টিকা, যা ডাক্তাররা তাদেরকে বলে থাকেন, আসবে।

(নয়াদিল্লি থেকে অঞ্জনা পাসরিচার পাঠানো প্রতিবেদন থেকে সেলিম হোসেন)

XS
SM
MD
LG