পুলিশি বাধা, গুম দিবসের
অনুষ্ঠান হয়নি
আন্তর্জাতিক গুম দিবসের কোন অনুষ্ঠানই হয়নি বাংলাদেশে। মানবাধিকার সংস্থা অধিকার বাংলাদেশের গুম হওয়া মানুষগুলোর আত্মীয়-স্বজনদের নিয়ে জাতীয় প্রেস ক্লাবে একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছিল। শনিবার রাতেই প্রেস ক্লাব কর্তৃপক্ষ অনুষ্ঠানটি বাতিল করে দেয়। সকালে পুলিশ অনুষ্ঠানস্থল দখল করে দিনভর পাহারা দেয়। এখানেই শেষ নয়, অধিকার অভিযোগ করেছে টেলিফোন করে গুম হওয়া পরিবারগুলোকে অনুষ্ঠানে না আসার জন্য হুমকি দেয়। অধিকার সম্পাদক অ্যাডভোকেট আদিলুর রহমান খানের খোঁজে অফিসে তল্লাশি চালায়। সুলতানা কামালের নেতৃত্বাধীন আইন ও সালিশ কেন্দ্র বলেছে, বাংলাদেশে চলতি বছর ৩৬ জন মানুষ নিখোঁজ হয়েছেন। এর পেছনে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাত রয়েছে বলে সংস্থাটি জানিয়েছে। যে ক’জন মানুষ বাড়ি ফিরেছেন তারা নিরাপত্তার কারণে কিছুই প্রকাশ করছেন না। ২০১৩ সালের ডিসেম্বরে ঢাকার বসুন্ধরা আবাসিক এলাকা থেকে এক সঙ্গে নিখোঁজ হয়েছিলেন ৮ জন। জাতিসংঘ এই ঘটনার তদন্ত দাবি করেছে।
সানজিদা ইসলাম তার ভাইয়ের সন্ধানে এখনও ঘুরে বেড়াচ্ছেন। বসুন্ধরা আবাসিক এলাকা থেকে তার ভাইকে তুলে নেয় র্যাব। এ প্রতিনিধির কাছে তিনি ঘটনার বিস্তারিত বিবরণ দেন।
রোববার সন্ধ্যার দিকে ভিকটিমদের পরিবারগুলো বিএনপি নেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার সঙ্গে সাক্ষাৎ করে তাদের কষ্ট কথা জানায়। বেগম জিয়া ঘটনাগুলোর আন্তর্জাতিক তদন্ত দাবি করেন। বলেন, রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় গুম-খুনের ঘটনা ঘটছে।
উল্লেখ্য যে, মানবাধিকার সংস্থাগুলোর হিসাব অনুযায়ী গত ১০ বছরে বাংলাদেশে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে কথিত বন্দুকযুদ্ধে প্রায় ২ হাজার মানুষ নিহত হয়েছেন।
ঢাকা থেকে বিস্তারিত জানিয়েছেন মতিউর রহমান চৌধুরী: