প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী সরকারের নোট বাতিলের সিদ্ধান্ত কে ঘিরে প্রতিবাদে সোচ্চার বিরোধীরা। দেশের বাম সংগঠনগুলো আজ ভারত বনধের ডাক দেয়। তবে বনধকে সমর্থন করেনি কংগ্রেস-তৃণমূল কংগ্রেস। আজকের দিনটাকে জন আক্রোশ দিবস হিসেবে পালনের করে কংগ্রেস। এদিকে আজ যখন ভারত বন্ধের অঙ্গ হিসাবে পশ্চিমবঙ্গেও বামেদের ডাকে বারো ঘন্টার ধর্মঘট পালন করা হয় ঠিক তখনই আজই পথে নামেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। উত্তর কলকাতার কলেজ স্কোয়ার থেকে ডোরিনা ক্রসিং পর্যন্ত মিছিল করল তৃনমূল কংগ্রেস। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, বনধকে তিনি সমর্থন করেন না, কারণ বনধের ফলে আরও হয়রান হতে হয় সাধারণ মানুষকে। নোট বাতিলকে কেন্দ্র করে আগে থেকেই নাজেহাল আমজনতা, তাঁদের আর সমস্যায় ফেলতে রাজি নন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী। তাই মিছিল করে প্রতিবাদের সিদ্ধান্ত তাঁর।তবে নরেন্দ্র মোদী সরকারের নোট বাতিলের সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে আন্দোলনে আজ সামিল হয়নি জনতা দল ইউনাইটেড। বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমারের দাবি, তিনি নোট বাতিলকে সমর্থন করেন, তবে তিনি চান সাধারণ মানুষের হয়রানি যত তাড়াতাড়ি সম্ভব শেষ হোক। নীতীশ কুমার আগামী ৩০ নভেম্বর পটনায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ডাকা ধর্নাতেও সামিল হবেন না বলে জানিয়ে দিয়েছেন।আজকের এই বিরোধিতায় সামিল হয়নি হরিয়ানার আইএনএলডি, তেলেঙ্গানা রাষ্ট্র সমিতিহাস এবং কর্ণাটক কংগ্রেসও।এদিকে আজকের বনধ, প্রতিবাদ আন্দোলন, মিটিং-মিছিল উপেক্ষা করে দেশের যেখানে মানুষ স্বাভাবিক জনজীবন বজায় রেখেছে, সেখানে কংগ্রেসের জন আক্রোশ দিবসের পাল্টা হিসেবে জন আভার দিবস পালন করছে বিজেপি। নাগপুরে বিভিন্ন জায়গায় মানুষকে মিষ্টি, ফুল দিয়েছে বিজেপি, কারণ তাঁরা কোনও ধরনের বিরোধিতায় সামিল হন নি।
নোট বাতিল ইস্যুতে আকজের তৃনমুলের প্র্রতিবাদী মিছিলে বুদ্ধিজীবীদের পথে নামার আবেদন রাকেন মমতা বন্দোপাধ্যায়।দেশকে রসাতলে পাঠিয়ে ঘুমোচ্ছন নরেন্দ্র মোদী, এমনই কটাক্ষ করেন মমতা বন্দোপাধ্যায়।নোট বাতিলের পরিকল্পনা ছিল না, বলেও দাবি করেন তৃনমুল নেত্রী।অন্যদিকে নোট বাতিল ইস্যুতে বামেদের ডাকা ভাযত বনধের চেহারাটা টি ছিল মিশ্র।গোটা দেশেই সব কিছুই স্বাভাবিক থাকলেও রাস্তাঘাটে লোকজনের যাতায়াত ছিল অন্যদিনের থেকে কম, এবং একই চিত্র ছিল এরাজ্যেও।