অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টের ক্ষমতা-কতৃত্বের সীমারেখা নির্ণিত হয়ে যেতে পারে


প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প যুক্তরাষ্ট্র কংগ্রেসকে পাশ কাটিয়েই জাতীয় জরূরি অবস্থা জারি ক’রেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিনাঞ্চল বরবার সীমান্ত দেয়াল গড়ার মানসে এবং এতে ক’রে এখন যে একটা আইনী সংঘাত পরিস্থিতির উদ্ভব ঘটলো তার ফলোদয়ে শেষাবধি যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টের ক্ষমতা-কতৃত্বের সীমারেখাটাই নির্ণিত হয়ে যেতে পারে ব’লে মনে করা হচ্ছে।

প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প যুক্তরাষ্ট্র কংগ্রেসকে পাশ কাটিয়েই জাতীয় জরূরি অবস্থা জারি ক’রেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিনাঞ্চল বরবার সীমান্ত দেয়াল গড়ার মানসে এবং এতে ক’রে এখন যে একটা আইনী সংঘাত পরিস্থিতির উদ্ভব ঘটলো তার ফলোদয়ে শেষাবধি যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টের ক্ষমতা-কতৃত্বের সীমারেখাটাই নির্ণিত হয়ে যেতে পারে ব’লে মনে করা হচ্ছে।

হোয়াইট হাউসের রৌয গার্ডেনে আয়োজিত দীর্ঘ প্রলম্বিত সংবাদ সম্মেলনে ট্রাম্প বলেন – মাদকের আগ্রাসী অভিযান,দঙ্গলবদ্ধ মস্তানদের হামলা অভিযান এবং বাইরের মানুষজনের অনভিপ্রেত আগমন হেতু মেক্সিকো বর্তী সীমান্তের কথা ভেবে এটার দরকার ছিলো।

প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প বলেন – বিরুপ সমালোচকদের, বিশেষ ক’রে কংগ্রেসের ডেমোক্র্যাট দলিয়দের কথা হ’লো যে – মাদকের চোরাচালানের বেশির ভাগটাই আসে বৈধ সীমান্তের পথ বেয়ে – কথাটা মিথ্যে ।

ট্রাম্প সমবেতদের মাঝে উপস্থিত জনৈক মহিলার প্রতি মনোযোগ আকর্ষন ক’রে বলেন – এই হালেই ঐ রমনীর স্বামী অবৈধ এক অভিবাসির হাতে খুন হয়েছেন।

ট্রাম্প বলেন – তাঁর মনেই হ’চ্ছে- জরূরী অবস্থা ঘোষনার কারণে তাঁর বিরুদ্ধে মামলা রুজু করা হবে – তবে ঐ মামলায় তাঁরই জয় হবে ব’লে মনে করেন তিনি।

আপীল আদালত নাইনথ সার্কীটেও আমাদের বিরুদ্ধে মামলা রুজু হবে- যদিও ওখানে এটা হবার কথা নয় – এবং হয়তোবা বাজে একটা রায়ও হয়ে যেতে পারে ওখানে, - আবার অন্য কোথায়ও অনভিপ্রেত একটা রায় হয়ে যেতে পারে – এবং তার পর হয়তো মামলা চলে যেতে পারে সূপ্রীম কোর্টে- এবং আমরা নায্য ফলাফল পেয়ে যাবো ওখানে, সূপ্রীম কোর্টে জিতে যাবো আমরা।

প্রেসিডেন্টের ভবিষদ্বানী সঠিক প্রমানিত হ’চ্ছে হয়তো বা - ইতিমধ্যেই।

ক্যালিফোর্ণিয়ার গভর্ণর গেভীন নিউসোম এবং রাজ্যের এ্যাটর্ণী জেনারেল যেভিয়ের বেসেরা যৌথ বিবৃতি জারী ক’রেছেন, ধিক্কার ব্যক্ত ক’রে ব’লেছেন – আদালতে আপনার মুখোমুখি হবো আমরা। ওয়াশিংটন রাজ্যের , নিউ ইয়র্কের এবং পৌয়েরটোরিকোর এ্যাটর্ণী জেনারেলত্রয় মন্তব্য ক’রেছেন –মোলাকাত হবে আদালতের এজলাশে।

কংগ্রেসের প্রতিনিধি পরিষদে, স্পীকার ন্যান্সী পেলৌসী এবং সেনেটের সংখ্যালঘু অংশের নেতা চাক শুমার প্রেসিডেন্টের এহেন পদক্ষেপকে অস্তিত্ব বিহিন এক পরিস্থিতির কথা ব’লে গৃহিত এটা একটা আইন বিগর্হিত জরূরী অবস্থার ঘোষনা। বলেন – এটা আমাদের সংবিধানের ওপর চরম আঘাত একটা - এবং এতে ক’রে এ্যামেরিকা আরো কম নিরাপদ হ’চ্ছে, প্রতিরক্ষার জরূরী খাতের অর্থ তছরুপ করা হচ্ছে – যে অর্থ কিনা আমাদের সামরিক বাহিনীর জন্যে, দেশের নিরাপত্তার জন্যে অতীব প্রয়োজনিয়।

এই জরূরী ঘোষনা, আদালতের আইনী লড়াইয়ে যদি টিকেও যায় – তো, তার পরেও দু’ হাজার ষোলোয় যে দেয়াল গড়ার প্রতিশ্রুতি ট্রাম্প উচ্চারণ করেছিলেন, সে প্রতিশ্রূতি পালন সুদূর পরাহতই রয়ে যেতে পারে। দু’ বছরের উদ্যোগ প্রয়াসের পরেও ট্রাম্প সীমান্তে মাইলী কোনো অতিক্রমন অর্জন ক’রতে পারেন নি এ অবধি – এ পর্যন্ত মেরামতি, রদবদল যাই হ’য়েছে তারই মধ্যে সীমাবদ্ধ রয়ে গিয়েছে সীমান্ত অতিক্রমন রোধের বেড়া- প্রতিবন্ধক তা সে যাই হোক না কেন।

XS
SM
MD
LG