ফেনীর সোনাগাজীর অগ্নিদগ্ধ মাদ্রাসা ছাত্রী নুসরাত জাহান মারা যাওয়ার পরে বাংলাদেশে তীব্র ক্ষোভ তৈরি হয়েছে। ঘটনার প্রতিবাদে দেশে বিদেশে বাংলাদেশিরা প্রতিবাদে ফুসে উঠেছেন। প্রতিবাদ বিক্ষোভ সমাবেশ মানববন্ধন হচ্ছে। আগেও এমন অনেক ঘটনায় এমন হয়েছে। ঘটনার পর কিছুদিন উত্তাল অবস।থা থাকে। আবার আস্তে আস্তে তা মিলিয়ে যায়, শান্ত হয়, মানুষ ভুলে যায়। নির্বাচনের সময় সুবর্নচর গৃহবধু গনধর্ষণের কথা হয়তো এখনো অনেকের মানে আছে।
সোনাগাজীর নুসরাতের গায়ে আগুন ধরিয়ে দৈয়া হয়েছিল কেরোসিন ঢেলে। কি বর্বর নৃসংস জঘন্য কাজ। কল্পনা করলেও যে কারো গা শিউরে ওঠার কথা।
তার শরীরের ৮০ শতাংশই আগুনে পুড়ে গিয়েছিল। তাকে লাইফ সাপোর্টে রাখা হয়েছিল এবং বুধবার রাতে তিনি মারা যান।
এরপর থেকে বাংলাদেশের সামাজিক মাধ্যমের বেশিরভাগ ব্যবহারকারী এ নিয়ে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া প্রকাশ করছেন।
কিন্তু এই মৃত্যু কি যৌন হয়রানি বন্ধে মানুষের মনোভাব বদলাতে পারবে? এই প্রশ্নের কি উত্তর হতে পারে তা নিয়ে আজকের আলোচনায় আমাদের অতিথী শারিয়া আইন বিশেষজ্ঞ কানাডা প্রবাসী হাসান মাহমুদ, নিউইয়র্ক প্রবাসী ইন্টারফেইথ কর্মী ইমাম কাজী কাইয়ুম এবং বাংলাদেশের কবি ও গল্পকার মুজতবা আহমেদ মুরশেদ।