মালদ্বীপ বাংলাদেশ থেকে অদক্ষ শ্রমিক নেয়া বন্ধ করে দিয়েছে। ১৮ই সেপ্টেম্বর থেকে এই সিদ্ধান্ত কার্যকর হয়েছে। বর্তমানে দেশটিতে ১ লাখ ৪৪ হাজার বিদেশী অভিবাসী শ্রমিক রয়েছে। এর মধ্যে বেশীরভাগই বাংলাদেশী ও ভারতীয়।
মালদ্বীপের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহীম মোহাম্মদ আলী মন্ত্রীসভার অর্থনৈতিক উন্নয়ন মন্ত্রণালয়ের পেপার আলোচনা শেষে একটি টাস্কফোর্স গঠন করেছেন। সেখানে অবৈধ বিদেশী শ্রমিক ও ওয়ার্ক পারমিট ইস্যু বিষয়ে বিশদ আলোচনা করা হয়। গত জানুয়ারিতে অভিবাসন কর্মকর্তারা সংবাদ মাধ্যমকে জানিয়েছিলেন, বিদেশী শ্রমিকরা মালদ্বীপে এসে পৌঁছায় তাদের হাত বৈধ ওয়ার্ক পারমিট থাকে কিন্তু তাদের অনেকেরই মেডিকেল রিপোর্ট থাকে না। এমনকি থাকে না ওয়ার্ক ভিসা। বহু অভিবাসী শ্রমিক রিসোর্টে কাজ করতে এসে অন্য সেক্টরে পালিয়ে যান।
গতবছর মালদ্বীপকে যুক্তরাষ্ট্রের হিউম্যান ট্রাফিকিং সূচকে ডাউন গ্রেডেড করা হয়। মানবপাচার বিরোধী আইন ২০১৩ সালের আওতায় প্রথম মামলাতেই ৩ জন বাংলাদেশী ১০ বছরের জন্য দণ্ডিত হয়েছিলেন। ২০১৬ সালে তাদের বিচার হয়। ঐ বছরের নভেম্বরে নারী চোরাচালানের দায়ে তাদেরকে দণ্ড দেয়া হয়। এরপর থেকে এ পর্যন্ত আর কারো দণ্ড হয়নি।