বাংলাদেশে নোভেল করোনা ভাইরাস সংক্রামন রোধে সরকার ঘোষিত সাধারণ ছুটির চতুর্থ দিন রোববারও বন্দর নগরী চট্টগ্রামে সর্বত্রই ছিল সুনসান নিরবতা। জরুরী প্রয়োজন ছাড়া লোকজন ঘর থেকে তেমন একটা বের হচ্ছেন না। নিম্ম আয়ের লোকজনকে ঘর থেকে বের না হতে উদ্বুদ্ধ করতে প্রশাসনের পক্ষ থেকে ত্রান হিসাবে দেয়া হচ্ছে চাল-ডাল-তেলসহ নিত্য পন্য সামগ্রী।
এদিকে সংক্রামন প্রতিরোধে সকালে নগরীর বিভিন্ন স্থানে জীবানুনাশক পানি ছিটিয়েছে সেনাবাহিনী। সংক্রামন রোধে এই কার্যক্রম অব্যহত থাকবে বলে জানান দায়িত্ব প্রাপ্ত সেনা কর্মকর্তা মেজর শফিকুর রহমান।
উপকূলীয় এলাকায় যারা হোম কোয়ারেন্টাইন মানছেন না তাদের প্রতিষ্ঠানিক কোয়ান্টেনটাইনে নেয়া হয়েছে বলে জানান উপকুলীয় এলাকায় নৌবাহিনীর দায়িত্বপালনকারী লে. কমান্ডার আশিকুর রহমান।
এদিকে জেলা প্রশাসন থেকে জানানো হয়েছে, চট্টগ্রামে বর্তমানে হোম কোয়ারেন্টাইনে আছে ৯৪৭জন। এর মধ্যে স্বাস্থ্য দফতরের তত্ববধানে চট্টগ্রামের ফৌজদারহাটে বিআইটিআইডি হাসপাতালে শুরু হয়েছে নোভেল করোনা ভাইরাস সনাক্ত করণ কার্যক্রম। এ পর্যন্ত ৩২জনের নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হয়। তবে, এখনো পর্যাপ্ত পজেটিভ কোন রোগী পাওয়া যায়নি বলে জানান চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ ইলিয়াছ হোসেন। জনগনকে আতংকিত না হয়ে ঘরে অবস্থান করার আহবান জানিয়েছেন চিকিৎসকরা।