অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে তেলের দাম সর্বনিম্ন পর্যায়ে


করোনাভাইরাস মহামারির কারণে চাহিদা কমায় তীব্র চাপের মুখে পড়েছে বিশ্ব জ্বালানি তেলের বাজার। এদিকে যুক্তরাষ্ট্রে জ্বালানি তেলের বাজারে ধস নেমেছে। যুক্তরাষ্ট্রে ক্রুড ওয়েল অর্থাৎ অপোরিশোধিত তেলের দাম শুন্যের নীচে চলে গেছে অর্থাৎ নেতিবাচক সূচকে চলে গেছে।

ডাও জনন্স ইন্ডাস্ট্রিয়াল ৫৯২ পয়েন্ট নীচে নেমেছে - এটি হচ্ছে শতকরা ২ ভাগ হ্রাস। এস এন্ড পি ফাইভ হান্ড্রেডও, শতকরা ২ ভাগ নীচে নেমেছে। এবং নাসডাক ১% হ্রাস পেয়েছে।

টেক্সাস ক্রুড ওয়েল মে মাসের জন্য যে আগাম চুক্তি করেছিল, তা আজ সোমবার মাইনাস -৩৭.৬৩ ডলার হয়ে গেছে অর্থাৎ সূচক নেতিবাচক হয়ে গেছে। যা কিনা ১০০ ভাগ হ্রাস।

আগের তুলনায় মানুষ ভ্রমন সীমিত করায় তেলের চাহিদা কমে গেছে এবং তেল মজুতকেন্দ্রগুলোও পরিপূর্ণ হয়ে আছে।

“ন্যাশনাল এভারেজ গ্যাস প্রাইজেস” এর তথ্য অনুযায়ী, সাম্প্রতিক সময়ে যুক্তরাষ্ট্রে বিভিন্ন রাজ্য জুড়ে দেখা গেছে যানবাহনের সাধারন গ্যাসের দাম প্রতি গ্যালনে গড়ে $ ১.৮১ ডলার।

ওদিকে বিশ্ব তেল বাজারের এরকম পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে গত সপ্তাহে আলোচনা শুরু হয় তেল উৎপাদনকারী দেশগুলোর মধ্যে। গত ১৩ এপ্রিল নানা আলোচনা জল্পনার পর ওপেক প্লাস ও তেল উৎপাদক মিত্রদেশগুলো উৎপাদন কমানোর ঐতিহাসিক সমঝোতায় পৌঁছায়। দৈনিক ৯৭ লাখ ব্যারেল তেল উৎপাদন কমানোর ব্যাপারে একমত হয়েছে শীর্ষ তেল উৎপাদক ও রপ্তানিকারকদের এই জোট, যা বিশ্বের মোট উৎপাদনের ১০ শতাংশ।

XS
SM
MD
LG