যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও সোমবার অর্থনৈতিক ও সুরক্ষা আলোচনার জন্য ফরাসী প্রেসিডেন্ট ইম্যানুয়েল ম্যাক্রোঁ এবং অন্যান্য নেতাদের সাথে সাক্ষাত করেছেন।
আলোচনার অন্যতম বিষয় ছিল সন্ত্রাসবাদ-বিরোধী পদক্ষেপ ও বিশ্বব্যাপী হুমকি। বৈঠকের আগে ফরাসী পররাষ্ট্রমন্ত্রী জ্যঁ-ইয়ভে লে ড্রিয়ান বলেছেন যে যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচনের ফলাফলের পরে পম্পেও’র সাথে বৈঠক একটু অদ্ভুত ব্যাপার বটে। তিনি আরও বলেছেন, তবে আলোচনার দরকার ছিল যাতে দুই দেশ ইরাক বা ইরানের পরিস্থিতি, সন্ত্রাসবাদ, মধ্য প্রাচ্যের সমস্যা এবং চীনের সাথে সম্পর্কের মতো অনেক কঠিন বিষয় আলোচনায় আনতে পারে।
ম্যাক্রোঁর কার্যালয় বলেছে যে বৈঠকগুলো " নির্বাচিত পরবর্তী প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের দলের প্রতি সম্পূর্ণ স্বচ্ছতা রেখেই করা হবে।"
জলবায়ু পরিবর্তন থেকে শুরু করে ইরান এবং মধ্য প্রাচ্যে যুক্তরাষ্ট্রের নীতিতে ট্রাম্প এবং ম্যাক্রোঁর মধ্যে এক উত্তেজনাপূর্ণ সম্পর্ক ছিল, এবং ম্যাক্রো হচ্ছেন প্রথম বিদেশী নেতাদের মধ্যে অন্যতম যিনি নব-নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনকে নির্বাচনের জয়ের পরে অভিনন্দন জানান।
১০ দিন ব্যাপী এ সফরে, পম্পেও ইউরোপ ও মধ্যপ্রাচ্যের বেশ কয়েকটি দেশে যাবেন।
তিনি জর্জিয়া এবং তারপরে ইসরাইল সফরে যাবেন, সেখানে প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর সাথে বৈঠক করবেন এবং বাহরাইন এবং সংযুক্ত আরব আমিরাতের সাথে ইসরাইলের সম্পর্ক স্বাভাবিক করার জন্য যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থ্যতায় সম্পাদিত চুক্তি নিয়ে আলোচনা করবেন। কূটনীতিকরা বলেছেন, বাহরাইনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবদুল্লাতিফ আল-জায়েনি পম্পেও এবং নেতানিয়াহুর সাথে ত্রিপক্ষীয় বৈঠকে যোগ দেবেন।
পম্পেওর এ সফরে সংযুক্ত আরব আমিরাত, কাতার এবং সৌদি আরবও অন্তর্ভুক্ত।