কেন্দ্রীয় সরকারের কৃষি আইনের বিরুদ্ধে ভারতে কৃষকদের প্রতিবাদ আন্দোলন আজ ৮৩ দিন পূর্ণ করল। আজ থেকে দেখা যাচ্ছে, দিল্লির সীমানায় বিভিন্ন রাজ্য থেকে আসা কৃষকদের যে অবস্থান শিবির ছিল, সেখানে লোকের সংখ্যা কমতে শুরু করেছে। অনেকেই নিজের নিজের গ্রামে ফিরে যাচ্ছেন। তা হলে কি কৃষক আন্দোলন আস্তে আস্তে তুলে নেওয়া হচ্ছে? এই প্রশ্নের উত্তরে কৃষক নেতারা জানিয়েছেন, তাঁরা বুঝতে পারছেন কেন্দ্রীয় সরকার তাদের আইন প্রত্যাহার করবে না। ১৮ মাস স্থগিত রাখার কথা বলে তারা শুধু সময় নষ্ট করতে চাইছে। তাই কৃষকেরা ঠিক করেছেন সারাদেশে প্রতিবাদ আন্দোলন ছড়িয়ে দেবেন।
বস্তুত গত তিনদিন ধরে দিল্লির হরিয়ানা ও উত্তর প্রদেশ পাঞ্জাব ও রাজস্থান সীমানায় যে হাজার হাজার কৃষক তাঁবু খাটিয়ে ট্রাক্টর নিয়ে অবস্থান করছিলেন, তাঁদের সংখ্যা কমে প্রায় অর্ধেক হয়ে গিয়েছে। কৃষক নেতারা জানিয়েছেন, তাঁরা এই আন্দোলন এখন সারা দেশের গ্রামে গ্রামে, প্রতিটি জেলায়, প্রতিটি মহল্লায় ছড়িয়ে দেবেন। সেখানে তাঁরা মহাপঞ্চায়েত করবেন, জনসভা ও মিছিল করবেন এবং মানুষকে বোঝাবেন, এই কৃষি আইনে কৃষকদের যেমন ক্ষতি, সাধারণ মানুষেরও তেমন ক্ষতি। লাভ হবে শুধু কিছু ধনী ব্যবসায়ী ও শিল্পপতির। কেন্দ্রীয় সরকার তাঁদের হাতেই ভারতের যাবতীয় কৃষি উৎপাদন এবং কৃষকদের রক্ত জল করা শ্রমের ফসল তুলে দিতে চলেছে।
কৃষক নেতা রাকেশ টিকায়েত জানিয়েছেন, আগামী দশ দিন তাঁরা মহারাষ্ট্র হরিয়ানা ও রাজস্থানে সমাবেশ ও মিছিল করবেন। তাঁর কথায়, "আন্দোলন তুলে নেওয়া দূরে থাক, একে আমরা আরও জোরদার করে তুলব। তাই দিল্লির আশপাশের এলাকায় যত কম সম্ভব আন্দোলনকারীকে রেখে আমরা অন্যত্র চলে যাচ্ছি আন্দোলন ছড়িয়ে দেওয়ার জন্য। দীর্ঘ লড়াইয়ের জন্য আমরা প্রস্তুত।"