ইরান, ২০১৫ সালের পরমাণু চুক্তি পুনরুজ্জীবিত করা সম্পর্কিত আলোচনার আগে, যুক্তরাষ্ট্রের প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসনের দ্বারা ইরানের উপর যে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছিল হয়েছিল, তা বাতিল করার দাবি পুনর্ব্যক্ত করেছে।
সোমবার, তেহরানে একটি সংবাদ সম্মেলনে ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রকের মুখপাত্র সাঈদ খাতিবজাদেহ বলেছেন যে, যুক্তরাষ্ট্র যদি সত্যিই পারমাণবিক চুক্তি নিয়ে আবার আলোচনা শুরু করতে চায় তবে পথ স্পষ্ট: যুক্তরাষ্ট্রকে অবশ্যই কার্যকরভাবে নিষেধাজ্ঞা তুলে নিতে হবে। তিনি বলেন এ নিয়ে আলোচনার প্রয়োজন নেই।
ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রকের মুখপাত্র রবিবার ২০১৫ সালের পারমাণবিক চুক্তি বা যৌথ বিস্তৃত কর্ম-পরিকল্পনা (জেসিপিওএ) পুনরায় আলোচনার বিষয়ে একই মন্তব্য করেছিলেন, যা তেহরানের পারমাণবিক উন্নয়ন কর্মসূচি এবং পারমাণবিক অস্ত্রের বিকাশে বাধা দিয়েছে।
রবিবার হোয়াইট হাউসের একজন মুখপাত্র ইরানের প্রতিক্রিয়া নিয়ে হতাশা প্রকাশ করেছেন। তবে বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র "জেসিপিও” এর প্রতিশ্রুতি মেনে পারস্পরিক প্রত্যাবর্তনের লক্ষ্যে পুনর্বার অর্থবহ কূটনীতিতে সম্পৃক্ত হতে প্রস্তুত"।
মুখপাত্র বলেছেন, ওয়াশিংটন জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের অপর চার স্থায়ী সদস্য - ব্রিটেন, চীন, ফ্রান্স, রাশিয়া আর সেই সঙ্গে জার্মানির সাথে এ বিষয়টি এগিয়ে নেয়ার সঠিক পথ নিয়ে পরামর্শ করবে।
ট্রাম্প এই চুক্তি থেকে যুক্তরাষ্ট্রকে সরিয়ে নিয়েছিলেন। তবে প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন তাঁর নির্বাচনী প্রচার অভিযানে যেমন তেমনি প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণের সময় থেকেই ইঙ্গিত দিয়ে আসছেন যে, তিনি এই চুক্তিতে আবার যুক্ত হতে চান যাতে রাশিয়া এবং চীনও অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র, তেহরানের কাছে জিম্মি অন্তত পাঁচজন আমেরিকানের ভাগ্য নিয়ে ইরানের সাথে যোগাযোগও শুরু করেছে।