যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা বিভাগ শুক্রবার জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার কাবুলের বিমানবন্দরের বাইরে একজন লোকই আত্মঘাতী বোমা হামলা চালিয়েছে। তবে আগে মনে করা হয়েছিল যে সেখানে দুজন ঐ বিস্ফোরণ ঘটিয়েছে। ঐ হামলায় যুক্তরাষ্ট্রের সেনা সদস্যসহ ১০০ জনেরও বেশি মানুষ নিহত হয়।
যুক্তরাষ্ট্রের সেনাবাহিনীর জেনারেল হ্যাঙ্ক টেইলার পেন্টাগনে এক সংবাদ ব্রিফিংয়ে সংবাদাতাদের বলেন, "এতে বিস্মিত হওয়ার কিছু নেই--- এই ধরনের অত্যন্ত দ্রুত পরিবর্তনশীল ঘটনা যখন ঘটতে থাকে তখন কখনও কখনও তথ্য ভুল বা বিকৃতভাবে রিপোর্টে প্রকাশিত হতে পারে।
পেন্টাগনের মুখপাত্র জন কার্বি ব্রিফিংয়ে জানিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্র বিশ্বাস করে যে বিমানবন্দরের উপরে "সুনির্দিষ্ট, বিশ্বাসযোগ্য"আরও হুমকি রয়েছে। উল্লেখ্য যে "আমরা অবশ্যই প্রস্তুত আছি এবং ভবিষ্যতেও আমরা এ ধরণের প্রচেষ্টার আশংকা করছি। "
মারাত্মক বোমা হামলার এক দিনেরও কম সময় পরে শুক্রবার, যখন মানুষকে অন্যত্র সরিয়ে নেওয়ার জন্য পুনরায় বিমান চলাচল শুরু হয় মরিয়া লোকজন ভোরে ঝুঁকি সত্ত্বেও আফগানিস্তান ছেড়ে যাওয়ার জন্য কাবুলের বিমানবন্দরের বাইরে ভিড় জমায়।
দ্য ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল জানিয়েছে যে শুক্রবার দিনে আরও পরের দিকে আরেকটি সন্ত্রাসী হামলা গুজব ছড়িয়ে পড়লে জনতা দিশেহারা হয়ে ছড়িয়ে পড়ে। শুক্রবার সকালে ভয়েস অব আমেরিকা একজন সংবাদদাতা এলাকাটি দেখার জন্য নিজে সেখানে যান। তিনি বেশিরভাগ রাস্তা ফাঁকাই দেখেছেনতবে তালিবানের নিরাপত্তা বাহিনী বিমানবন্দরের কাছের রাস্তাগুলোতে প্রবেশ বন্ধ করে দেয়।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন কাবুলের বিমানবন্দরের বাইরে বৃহস্পতিবারের মারাত্মক আক্রমণের জন্য দায়ী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে প্রতিশোধ নেওয়ার প্রতিজ্ঞা করছেন। ঐ হামলায় কমপক্ষে ১৩ জন আমেরিকান সামরিক কর্মী এবং কয়েক ডজন বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছেন। তালিবান নিয়ন্ত্রিত দেশ থেকে পালানোর আশায় তারা সেখানে জড়ো হয়েছিলেন।