জিল বাইডেন আবার কলেজে গিয়ে ক্লাসরুমে পড়াবেন। যুক্তরাষ্ট্রের ফার্স্ট লেডি মঙ্গলবার থেকে নর্দার্ন ভার্জিনিয়া কমিউনিটি কলেজের শ্রেণীকক্ষ গিয়ে শিক্ষকতা পুনরায় শুরু করেন। কয়েক মাস তিনি কম্পিউটারেরস্ক্রিনে বা পর্দায় সামানে বসেই কমিউনিটি কলেজের শিক্ষার্থীদের লেখা এবং ইংরেজি ভাষা শিক্ষা দিচ্ছিলেন। ফার্স্ট লেডি জিল বাইডেন ২০০৯ সাল থেকে নর্দার্ন ভার্জিনিয়া কমিউনিটি কলেজের শিক্ষকতা করছেন।
তিনি আমেরিকার প্রথম ফার্স্ট লেডি যিনি হোয়াইট হাউসের বাইরে দীর্ষ সময়ের জন্য নিয়মিত চাকরি করছেন।
তিনি সম্প্রতি গুড হাউসকিপিং ম্যাগাজিনকে বলেন, “এমন কিছু জিনিষ আছে যা আপনি অদল-বদল বা প্রতিস্থাপন করতে পারবেন না। আর আমি ক্লাসরুমে ফিরে যাওয়ার জন্য অপেক্ষা করতে পারছি না।” মহামারীর কারণে এক বছরেরও বেশি সময় ধরে ভার্চুয়াল শিক্ষাদানের পর ফার্স্ট লেডি তার ছাত্রদের ব্যক্তিগতভাবে দেখার জন্য অধীর হয়ে উঠেছেন যা বাইডেন প্রশাসনকে ক্রমাগত চ্যালেঞ্জের মধ্যে ফেলছে।
বস্টন বিশ্ববিদ্যালয়ের যোগাযোগ মাধ্যমের অধ্যাপক ট্যামি ভিজিল বলেন, এটাই "বড় ব্যাপার" যে ফার্স্ট লেডি চাকরী করেন। অধ্যাপক ভিজিল ফার্স্ট লেডি মিশেল ওবামা এবং মেলানিয়া ট্রাম্পকে নিয়ে বই লিখেছিলেন।
আমেরিকার প্রথম দিকের ফার্ষ্ট লেডিরা হোয়াইট হাউসের বাইরে কাজ করেননি। তারা তাদের স্বামীদের সমর্থন করতেন, সন্তানদের লালন পালন করেছেন এবং অতিথি আপ্যায়নেই ভূমিকা রেখেছেন।
কয়েকজন ফার্ষ্ট লেডি তাদের স্বামীদের জন্য এম্বাসেডার হিসাবে কাজ করে ছিলেন। এলেনর রুজভেল্ট বিশেষভাবে সক্রিয় ছিলেন, যুক্তরাষ্ট্রের ভেতরে ভ্রমণ করতেন এবং প্রেসিডেন্ট ফ্রাঙ্কলিন ডি রুজভেল্টকে রিপোর্ট করতেন। পোলিওর কারণে প্রেসিডেন্ট ফ্রাঙ্কলিন ডি রুজভেল্টের চলাচল সীমাবদ্ধ ছিল। খুব সম্প্রতি ফার্ষ্ট লেডি লরা বুশ এলিমেন্টারি স্কুলের শিক্ষক এবং লাইব্রেরিয়ান ছিলেন তবে সন্তান হওয়ার পর কাজকরা বন্ধ করে দেন এবং তাঁর স্বামী নির্বাচিত হওয়ার পর কাজ করেননি। হিলারি ক্লিন্টন এবং মিশেল ওবামা চাকরিজীবী মা ছিলেন তবে হোয়াইট হাউসে থাকার সময় তারা কাজ না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন।
৭০ বছর বয়সী জিল বাইডেন নিজের এবং তার উত্তরসূরিদের জন্য একটি নতুন পথ তৈরি করছেন। ফার্স্ট লেডি বলেছেন যে তিনি সবসময় একজন পেশাজীবী মহিলা হতে চেয়েছিলেন। তাঁর স্বামী ভাইস প্রেসিডেন্ট ছিলেন ঐ আট বছর তিনি ভার্জিনিয়া কমিউনিটি কলেজে পড়িয়েছেন।
তিনি বলেন, "শিক্ষকতা কেবলমাত্র আমি যে কাজটি করি তা নয়। এটা হচ্ছে আমি কে।”২০১৯ সাল থেকে যুক্তরাষ্ট্রের শ্রম শক্তির প্রায় অর্ধেক বা ৪৭ শতাংশ হচ্ছে নারী।
