অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

রাখাইন রাজ্যে জাতিগত ক্ষমতার লড়াইয়ে মুসলমানরা উদ্বিগ্ন


ফাইল - জাতিগত রাখাইন গ্রামবাসীরা তাদের জিনিসপত্র নিয়ে মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যের সিটওয়েতে একটি অস্থায়ী শিবিরে পৌঁছেছে। ২৯ জুন ২০২০।
ফাইল - জাতিগত রাখাইন গ্রামবাসীরা তাদের জিনিসপত্র নিয়ে মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যের সিটওয়েতে একটি অস্থায়ী শিবিরে পৌঁছেছে। ২৯ জুন ২০২০।

মিয়ানমারের ক্ষমতাসীন সামরিক বাহিনী অন্যত্র ব্যস্ত থাকায়, পশ্চিম রাখাইন রাজ্যে বৌদ্ধ সংখ্যালঘু নেতারা নিজেদেরকে রাজ্যে কার্যকর সরকার ও নিরাপত্তা বাহিনী হিসেবে প্রতিষ্ঠা করছেন। বিকল্প হিসেবে তারা জান্তার চেয়ে ভালো, এমনটা বলে অন্ততঃ কিছু মুসলমানকে বোঝাচ্ছেন ।

কিন্তু সাম্প্রতিক এই ঘটনা রাজ্যের অন্যান্য মুসলমানদের উদ্বিগ্ন করছে। ২০১৭ সালে সরকারী সৈন্যরা যে হত্যাকাণ্ডের তাণ্ডব চালিয়েছে তারা তা দেখেছে। হাজার হাজার লোককে হত্যা করা হয়েছে এবং ৭ লক্ষেরও বেশি রোহিঙ্গা মুসলমান নিরাপত্তার জন্য প্রতিবেশী বাংলাদেশে পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়েছে।

স্থানীয় একজন কর্মকর্তার হত্যাসহ সাম্প্রতিককালে জাতিগত যে ঘটনাগুলি ঘটছে তা ২০১২ সালের দুটি সম্প্রদায়ের মধ্যে সংঘর্ষের স্মৃতি মনে করিয়ে দিচ্ছে। ঐ সময় মানুষ হত্যা করা হয়েছিল, বাড়িঘর এবং ধর্মীয় ভবনে আগুন দেওয়া হয়েছিল এবং ৩০ হাজারেরও বেশি মানুষকে বাস্তুচ্যুত করা হয়েছিল।

সাম্প্রতিক মাসগুলিতে, মিয়ানমারের অন্য জায়গায় সহিংসতা বৃদ্ধি পেলেও রাখাইন তুলনামূলকভাবে শান্তিপূর্ণ রয়েছে। তাতমাদও নামে পরিচিত সামরিক বাহিনী ২০২১ সালের পয়লা ফেব্রুয়ারী অভ্যুত্থানের মাধ্যমে ক্ষমতা দখলের জন্য প্রতিরোধের সম্মুখীন হচ্ছে ৷

এই পরিস্থিতি রাখাইন বা আরাকান নামে পরিচিত একটি প্রধান বৌদ্ধ জাতিগোষ্ঠীকে ক্ষমতার জন্য লড়াইয়ের একটি সুযোগ করে দিয়েছে। আরাকান আর্মি নামে পরিচিত একটি সশস্ত্র মিলিশিয়া যারা ২০০৯ সাল থেকে কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে লড়াই করছে, তাদের নেতৃত্বে এই জাতিগোষ্ঠী রাখাইন জনগণের জন্য স্বায়ত্ব শাসন প্রতিষ্ঠা করার দাবি জানাচ্ছে।

গত বছরের মাঝামাঝি থেকে, আরাকান আর্মি রাখাইনে নিজেদের একটি বিকল্প সরকার হিসেবে প্রতিষ্ঠা করছে। জনসাধারণকে নানা অভিযোগ, চুরি, ডাকাতি এবং জমি সংক্রান্ত বিরোধ সহ আইনি সমস্যা সমাধানের জন্য তাদের কাছে যেতে বলছে।

XS
SM
MD
LG