গত সপ্তাহান্তে দ্বিতীয় অবস্থানে থাকার পর, এই সপ্তাহে “স্পাইডারম্যান: নো ওয়ে হোম” শীর্ষে ফিরে এসেছে। সনির এই সুপারহিরো মুভিটি, মুক্তির পরের ষষ্ঠ সপ্তাহান্তে, আবার প্রথম অবস্থান দখল করেছে। বর্তমানে এটি বিশ্বে, ইতিহাসের সবচেয়ে ব্যবসা সফল সিনেমাগুলোর তালিকায় ষষ্ঠ অবস্থানে রয়েছে।
উত্তর আমেরিকায় এই সপ্তাহে, এই সিনেমাটি ১ কোটি ৪১ লক্ষ ডলার আয় করেছে বলে রবিবারের এক স্টুডিও হিসেব বলছে। বিশ্বব্যাপী এর আয় এখন পর্যন্ত ১৭০ কোটি ডলার। এর ফলে “জুরাসিক ওয়ার্ল্ড” ও “দ্যা লায়ন কিং” এর মোট আয়কেও এটি ছাড়িয়ে গিয়েছে। উত্তর আমেরিকায় ৭২.১ কোটি ডলার আয় করে, এটি এখন সেখানকার চতুর্থ ব্যবসা সফল সিনেমা।
এক সপ্তাহ আগে মুক্তি পাওয়া “স্ক্রিম” এর আয়, এই সপ্তাহে আগের তুলনায় ৫৯% কমে যায়, যা কোন হরর সিনেমার জন্য বেশ স্বাভাবিক ব্যাপার। দ্বিতীয় সপ্তাহান্তে এই সিনেমাটির আনুমানিক ১ কোটি ২৪ লক্ষ ডলারের টিকিট বিক্রির সম্ভাবনা রয়েছে। প্যারামাউন্টের পরিবেশন করা এই সিনেমাটি, এই পর্যন্ত ৫ কোটি ১৩ লক্ষ ডলার আয় করেছে।
মুক্তির পর পঞ্চম সপ্তাহান্তে এসে, ইউনিভার্সাল ও ইলুমিনেশনের পরিবেশন করা “সিং ২”, তৃতীয় অবস্থান দখল করেছে। এটি এই সপ্তাহান্তে ৫৭ লক্ষ ডলার এবং মুক্তির পর থেকে মোট ২৪.১২ কোটি ডলার আয় করেছে।
আগে থেকে প্রদর্শিত হতে থাকা সিনেমাগুলোকে, এই সপ্তাহান্তে খুব একটা সমস্যা পোহাতে হয়নি। এই শুক্রবার নতুন মুক্তি পাওয়া দুইটি সিনেমাই তুলনামূলকভাবে কম পরিচিত। পিয়ার্স ব্রসনান অভিনিত “দ্যা কিংস ডটার” একটি কল্পকাহিনী, যেটি ২০১৪ সালে শ্যুটিং শেষের পর থেকে, এখনও পর্যন্ত মুক্তির অপেক্ষায় ছিল। প্রায় ২,০০০ থিয়েটারে ৭,৫০,০০০ ডলার আয় করে সিনেমাটি। মুক্তি পাওয়া অন্য সিনেমাটি “রিডিমিং লাভ”। নিনা ডবরেভ অভিনিত এই সিনেমাটি ৩৭ লক্ষ ডলার আয় করে শীর্ষ পাঁচের তালিকায় চলে আসে।
কমস্কোর-এর হিসাবে, শুক্রবার থেকে রবিবার দিনশেষ পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডার থিয়েটারে টিকেট বিক্রির আনুমানিক হিসাব পাওয়া গিয়েছে। তবে চূড়ান্ত হিসাবটি সোমবার পাওয়া যাবে।
১. “স্পাইডারম্যান: নো ওয়ে হোম”, ১ কোটি ৪১ লক্ষ ডলার
২. “স্ক্রিম”, ১ কোটি ২৪ লক্ষ ডলার
৩. “সিং ২”, ৫৭ লক্ষ ডলার
৪. “রিডিমিং লাভ”, ৩৭ লক্ষ ডলার
৫. “দ্য কিংস ম্যান”, ১৮ লক্ষ ডলার
৬. “দ্য ৩৫৫”, ১৬ লক্ষ ডলার
৭. “আমেরিকান আন্ডারডগ”, ১২ লক্ষ ডলার
৮. “দ্য কিংস ডটার”, ৭,৫০,০০০ ডলার
৯. “ওয়েস্ট সাইড স্টোরি”, ৬,৮৯,০০০ ডলার
১০. “লিকোরিস পিৎজা”, ৬,৮৩,৩৫৭ ডলার