উত্তর কোরিয়া মঙ্গলবার (২৪ জানুয়ারি) একসঙ্গে দুটি ক্রুজ মিসাইল ছুড়েছে বলে জানিয়েছে দক্ষিণ কোরিয়ার সামরিক বাহিনী।
এই নিয়ে চলতি বছর পঞ্চমবারের মতো মিসাইল উৎক্ষেপণ করেছে দেশটি।
দক্ষিণ কোরিয়ার ইয়োনহাপ সংবাদ সংস্থা জানিয়েছে, মিসাইলটি দেশের অভ্যন্তর থেকে উড়ে পূর্ব সাগরে গিয়ে পড়েছে।
খবরের সত্যতা নিশ্চিত করে দক্ষিণ কোরিয়ার সামরিক বাহিনী জানিয়েছে, তারা ঘটনার বিস্তারিত বিশ্লেষণ করছে।
নতুন বছরে সর্বমোট পাঁচবার আটটি ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা চলিয়েছে দেশটি। গত সপ্তাহে উত্তর কোরিয়া দীর্ঘ তরঙ্গের মিসাইল এবং পরমাণু অস্ত্রের পরীক্ষা চালাবে বলে হুমকি দিয়েছিল।
জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ একাধিকবার উত্তর কোরিয়ার ওপর কোনো ধরনের ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র কার্যক্রম বা উৎক্ষেপণে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। যদিও নিরাপত্তা পরিষদের এই নিষেধাজ্ঞার আওতায় ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ পড়ে না।
সম্প্রতি জাতিসংঘের প্রতি অসন্তোষ প্রকাশ করে উত্তর কোরিয়া এই নিষেধাজ্ঞাকে “শত্রুভাবাপন্ন নীতি’ নামে অভিহিত করে।
১৯৫০ সালে কোরিয়া যুদ্ধের পর থেকে দক্ষিণ কোরিয়ায় যুক্তরাষ্ট্রের ২৮ হাজার সেনা মোতায়েন রয়েছে। উল্লেখ্য, শান্তি চুক্তির পরিবর্তে একটি সন্ধির মাধ্যমে কোরিয়া যুদ্ধের অবসান ঘটে।
জো বাইডেন প্রেসিডেন্ট হিসেবে ক্ষমতা গ্রহণের পর থেকে ওয়াশিংটন বারবার বলে আসছে, যুক্তরাষ্ট্র সরকার যেকোনো সময় আলোচনায় বসতে সম্মত রয়েছে।
পেন্টাগনের মুখপাত্র জন কারবি সোমবার এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, “উত্তর কোরিয়া যুক্তরাষ্ট্রের এই আহবানে এখন অবধি কোনো ইতিবাচক সাড়া দেয়নি”।
দেশটির পরমাণু ও ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের সক্ষমতা বাড়ানোর ব্যাপারে শঙ্কা প্রকাশ করে কারবি বলেন, “আমরা প্রতিনিয়ত এর সমালোচনা করে আসছি এবং উত্তর কোরিয়াকে এ ধরনের উসকানি থেকে বিরত থেকে আন্তর্জাতিক আইন মেনে চলতে আহবান করেছি”।