বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন (ইসি) গঠনে করা আইনের খসড়ায় দুটি পরিবর্তনের সুপারিশ করে বাংলাদেশ জাতীয় সংসদে প্রতিবেদন দিয়েছে আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রণালয়–সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটি।
প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এবং নির্বাচন কমিশনার নিয়োগের যোগ্যতা ও অযোগ্যতার অংশে কিছু পরিবর্তন এনে বুধবার (২৬ জানুয়ারি) সংসদীয় যাচাই-বাছাই কমিটির সভাপতি এম শহীদুজ্জামান সরকার প্রতিবেদনটি পেশ করেন।
কমিটি বিলের ধারা ৬ (ঘ) পরিবর্তন করেছে যেখানে উল্লেখ করা হয়েছে যে নৈতিক স্খলনজনিত ফৌজদারি অপরাধে দোষী সাব্যস্ত হয়ে অন্যূন দুই বছরের কারাদণ্ডে দণ্ডিত হলে সিইসি এবং নির্বাচন কমিশনার পদের জন্য যোগ্য হবেন না।
সিইসি ও নির্বাচন কমিশনার হওয়ার জন্য যেকোনো গুরুত্বপূর্ণ সরকারি, বিচার বিভাগীয়, আধা-সরকারি বা বেসরকারি পদে কমপক্ষে ২০ বছরের কাজের অভিজ্ঞতা থাকতে হবে।
সংসদীয় কমিটি এই ধারায় সংশোধনী এনে সরকারি, বিচার বিভাগীয়, আধা-সরকারি বা বেসরকারি পদ ছাড়াও “স্বায়ত্তশাসিত ও অন্যান্য পেশা” যুক্ত করার সুপারিশ করেছে।
এই সংশোধনীর মাধ্যমে আইনটি পাস হলে বিভিন্ন পেশাজীবী সংস্থা-স্বায়ত্তশাসিত এবং অন্য পেশার ব্যক্তিরা সিইসি এবং নির্বাচন কমিশনার পদের জন্য যোগ্য হবেন।
সার্চ কমিটির মাধ্যমে গঠিত বর্তমান ও আগের নির্বাচন কমিশনকে আইনে রূপ দিতে ২৩ জানুয়ারি আইনমন্ত্রী আনিসুল হক সংসদে বিলটি পেশ করেন।
বিলটি জাতীয় সংসদে উত্থাপনের পর তা পরীক্ষা করে সাত দিনের মধ্যে প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য সংসদীয় কমিটিতে পাঠানো হয়েছিল।
নিয়ম অনুযায়ী, এখন সংসদের আগামী বৈঠকে বিলটি পাসের প্রস্তাব করবেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। এরপর বিল নিয়ে সংসদ সদস্যরা আলোচনা ও সংশোধনী প্রস্তাবের সুযোগ পাবেন।
আইনটি পাস হলে সার্চ কমিটির যাবতীয় কার্যক্রমকে আইনি সুরক্ষা দেবে।
সিইসি কে এম নুরুল হুদার নেতৃত্বাধীন বর্তমান কমিশনের মেয়াদ আগামী মাসে শেষ হচ্ছে।