অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

ইউক্রেন নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র-রাশিয়ার অচলাবস্থা: চীনের সুযোগ কতটুকুই বা


RUSSIA-CH১৫ ডিসেম্বর ২০২১: রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গে একটি ভিডিও লিঙ্কের মাধ্যমে আলোচনা করেন
রয়টার্স
RUSSIA-CH১৫ ডিসেম্বর ২০২১: রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গে একটি ভিডিও লিঙ্কের মাধ্যমে আলোচনা করেন রয়টার্স

রাশিয়া এবং পশ্চিমাদেশগুলো ইউক্রেনকে কেন্দ্র করে যখন মুখোমুখি অবস্থানে রয়েছে তখন চীন ক্রবর্ধমান আগ্রহের সাথে পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছে। ইউক্রেন সীমান্তে ১ লক্ষেরও বেশি রাশিয়ান সেনা মোতায়েনের ফলে পশ্চিমা দেশগুলোর মধ্যে উদ্বেগ বাড়ছে যে ক্রেমলিন আসন্ন আগ্রাসনের পরিকল্পনা করছে। মস্কো এ ধরনের কোনো পরিকল্পনার কথা অস্বীকার করেছে।

ইউক্রেন আক্রমণ করলে পশ্চিমা দেশগুলো মস্কোর বিরুদ্ধে নজিরবিহীন অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞার হুমকি দিয়েছে। পাশ্চাত্য দেশগুলো যদি রাশিয়াকে বিচ্ছিন্ন করে দেয় তাহলে রাশিয়া কি সাহায্যের জন্য পূর্ব দিকে অর্থাৎ চীনের দিকে দৃষ্টি প্রসার করতে পারে? ইউনিভার্সিটি অফ লন্ডনের স্কুল অফ ওরিয়েন্টাল অ্যান্ড আফ্রিকান স্টাডিজের চায়না ইন্সটিটিউটের পরিচালক অধ্যাপক স্টিভ সাং বলেছেন, বেইজিং এ ব্যাপারে পদক্ষেপ নিতে প্রস্তুত।

তিনি বলেন, “বিশ্বকে স্বৈরাচারী শাসকদের জন্য নিরাপদ করে তোলার বিষয়ে শি জিনপিংয়ের অধীনে চীনের নীতি সুস্পষ্ট। এবং এখন শি জিনপিংয়ের অধীনে চীনও নিজেকে একটি শীর্ষস্থানীয় সমাজতান্ত্রিক দেশ বলে মনে করে এবং সাবেক সমাজতান্ত্রিক দেশগুলির জন্য তাদের এক ধরণের দূর্বলতা রয়েছে।

সুতরাং প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের অধীনে রাশিয়া দুটি দিকেই রয়েছে যা রাশিয়াকে চীনা সমর্থন পাওয়ার জন্য খুব যোগ্য করে তোলে।

অধ্যাপক সাং ভিওএকে বলেন, “আমি মনে করি, চীন যে নীতি গ্রহণ করতে পারে তা হলো, যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয়ানরা রাশিয়ার ওপর যে অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা আরোপ করতে পারে তা মোকাবেলায় চীন রাশিয়াকে যথাসম্ভব সাহায্য করতে পারে। তবে আমি মনে করি রাশিয়া ও চীনের মধ্যে অর্থনৈতিক সম্পর্ক তেমন শক্তিশালী নয় যা কিনা রাশিয়া ও ইউরোপের মধ্যে যে অর্থনৈতিক সংযোগের বিকল্প হতে পারে।“

XS
SM
MD
LG