অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

বাংলাদেশে করোনায় মৃত্যু ৩৪, শনাক্ত ১২ হাজারের বেশি


বাংলাদেশের একটি বাজারে মানুষের ভিড়। (ছবি- ইউএনবি)
বাংলাদেশের একটি বাজারে মানুষের ভিড়। (ছবি- ইউএনবি)

বাংলাদেশে করোনায় মৃত্যু বেড়েই চলছে। গত ২৪ ঘণ্টায় (শনিবার সকাল ৮টা থেকে রবিবার সকাল ৮টা পর্যন্ত) আরও ৩৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। এই সময় শনাক্ত হয়েছে আরও ১২ হাজার ১৮৩ জন। এ পর্যন্ত দেশে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৮ হাজার ৩৬৩ জনে। এর আগে শনিবার করোনায় ২১ জনের মৃত্যু হয়েছিল।

রবিবার (৩০ জানুয়ারি) স্বাস্থ্য অধিদপ্তর এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানায়।

এতে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় ৪৩ হাজার ৬টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়। দেশে মোট শনাক্তের সংখ্যা ১৭ লাখ ৮৫ হাজার ৩৩২ জনে পৌঁছেছে। শনাক্তের হার ২৮ দশমিক ৩৩ শতাংশ। শনাক্ত বিবেচনায় মোট মৃত্যুর হার এক দশমিক ৫৯ শতাংশ।

এদিকে ২৪ ঘণ্টায় করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন আরও দুই হাজার ১৬৭ জন। এ নিয়ে দেশে মোট সুস্থ ব্যক্তির সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৫ লাখ ৬৫ হাজার ৬৪৫ জনে। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৮৭ দশমিক ৬৯ শতাংশ।

গত ২৪ ঘণ্টায় সবচেয়ে বেশি ২২ জনের মৃত্যু হয়েছে ঢাকা বিভাগে। এদের মধ্যে ১৫ জনই ঢাকা জেলার। এরপর চট্টগ্রাম বিভাগে ৫ জন, রাজশাহী ৪, ময়মনসিংহ ২ ও সিলেট বিভাগে একজনের মৃত্যু হয়েছে।

মারা যাওয়া ৩৪ জনের মধ্যে পুরুষ ১৯ এবং নারী ১৫ জন।

ঠাকুরগাঁওয়ে শনাক্তের হার ৬৭ দশমিক ৩৫ শতাংশ

ঠাকুরগাঁওয়ে আশঙ্কাজনক হারে বাড়ছে করোনায় আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা। রবিবার সকাল ৮টা পর্যন্ত আগের ২৪ ঘণ্টায় জেলায় ৯৮ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ৬৬ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। জেলায় শনাক্তের হার ৬৭ দশমিক ৩৫ শতাংশ।

ঠাকুরগাঁওয়ের সিভিল সার্জন ডা. নূর নেওয়াজ আহমেদ জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় ঠাকুরগাঁও সদরে ৫৫ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ৪৩ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। সদর উপজেলায় শনাক্তের হার ৭৮ দশমিক ১৮ শতাংশ। এ ছাড়া পীরগঞ্জে ১১ জনের মধ্যে পাঁচজন, রাণীশংকৈলে ১০ জনের মধ্যে ছয়জনের, বালিয়াডাঙ্গীতে ১০ জনের মধ্যে ছয়জনের ও হরিপুরে নয়জনের মধ্যে ছয়জন নিয়ে জেলায় মোট ৯৮ জনের মধ্যে ৬৬ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে।

জেলায় এ পর্যন্ত ৮ হাজার ৯৪ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। সুস্থ হয়েছেন ৭ হাজার ৫২৪ জন। মোট মারা গেছেন ২৪২ জন।

চলতি জানুয়ারি মাসে ৩৩১ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। এই সময়ে কেউ মারা যাননি।

সিভিল সার্জন বলেন, “ঠাকুরগাঁওয়ে করোনার সংক্রমণ বাড়ছে। মানুষের মধ্যে রয়েছে উদাসীনতা। এ অবস্থা চলতে থাকলে করোনা সংক্রমণের ঊর্ধ্বমুখী ঠেকানো সম্ভব হবে না।”

XS
SM
MD
LG