ইরান সমর্থিত ইয়েমেনের হুথি বিদ্রোহীদের নিক্ষেপিত আরও একটি ব্যালাস্টিক মিসাইল সোমবার (৩১ জানুয়ারি) প্রতিহত করেছে সংযুক্ত আরব আমিরাত (ইউএই)। উপসাগরীয় এই রাষ্ট্রটিতে গত দুই সপ্তাহে এটি হুথি পরিচালিত তৃতীয় হামলা।
পেন্টাগনের প্রেস সেক্রেটারি জন কারবি সাংবাদিকদের জানান, যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক কর্মকর্তারা উপসাগরীয় দেশটিতে অবস্থিত ঘাঁটি থেকে প্যাট্রিয়ট মিসাইলের তোপের সাহায্যে হামলার জবাব দেন। অন্যদিকে আমিরাতি বাহিনী ভূমি থেকে আকাশে নিক্ষেপযোগ্য ক্ষেপণাস্ত্র ছোঁড়ে।
“যুক্তরাষ্ট্রের প্যাট্রিয়ট ক্ষেপণাস্ত্রটি ছোঁড়া হয়েছিল, কিন্তু সংযুক্ত আরব আমিরাতের বাহিনীর ভূমি থেকে আকাশে নিক্ষেপযোগ্য ক্ষেপণাস্ত্রটিই লক্ষ্যভেদ করতে সক্ষম হয়”, কারবি বলেন।
ভূপাতিত ক্ষেপণাস্ত্রটি কোনো ক্ষয়ক্ষতি বা প্রাণহানি ঘটায়নি বলে জানিয়েছেন কারবি।
সংযুক্ত আরব আমিরাতে ইসরাইলের প্রেসিডেন্টের রাষ্ট্রীয় সফরের সময় চালানো এই হামলার দায় স্বীকার করেছেন একজন হুথি মুখপাত্র।
সংযুক্ত আরব আমিরাতের প্রেসিডেন্টের কূটনৈতিক উপদেষ্টা আনোয়ার গারগাশ এই হামলাকে “অপ্রয়োজনীয়” উসকানি হিসেবে অভিহিত করেছেন।
“আমাদের দেশের প্রতি সন্ত্রাসী সংগঠনের এই ভীতিপ্রদর্শন এবং বিভ্রমকে আমরা ক্ষণস্থায়ী হুমকি মনে করি এবং দেশের নিরাপত্তা এবং সার্বভৌমত্ব বজায় রাখতে এসব হামলার যথাযথ জবাব দেওয়া হবে”, সোমবার টুইটারে লেখেন গারগাশ।
গত সপ্তাহে সংযুক্ত আরব আমিরাত এবং যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক বাহিনী অনুরূপ হামলা ঠেকাতে ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিহতকারী মিসাইল উৎক্ষেপণ করে।
তার আগের সপ্তাহে হুথি বিদ্রোহীরা সংযুক্ত আরব আমিরাতের রাজধানীর মুসাফাহ এলাকায় আবুধাবি ন্যাশনাল অয়েল কোম্পানির একটি ডিপোতে ড্রোন এবং মিসাইল হামলা করে। ওই হামলায় তিনজন নিহত হন এবং আরও ছয়জন আহত হন।
হুথি বিদ্রোহীরা সচরাচর সৌদি আরবে হামলা করত। জানুয়ারি মাসে তারা সংযুক্ত আরব আমিরাতে হামলা চালায়। ইসরাইল এবং সুন্নি অধ্যুষিত সৌদি আরব এবং সংযুক্ত আরব আমিরাত শিয়া অধ্যুষিত ইরান এবং ইয়েমেনের হুথিদের প্রতি ইরানের সমর্থন নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে।