অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

ঠাকুরগাঁওয়ে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের শিকার স্কুলছাত্রী


ধর্ষণ সম্পর্কিত প্রতীকী ছবি।
ধর্ষণ সম্পর্কিত প্রতীকী ছবি।

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার রুহিয়ায় সংঘবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হয়েছে নবম শ্রেণির এক শিক্ষার্থী। ঢোলারহাট ইউনিয়নের হারাগাছ গ্রামে সোমবার (৩১ জানুয়ারি) মধ্য রাতে এ ঘটনা ঘটলেও মঙ্গলবার রাতে ধর্ষণের শিকার শিক্ষার্থীকে পুলিশ হাসপাতালে নেওয়ার পর বিষয়টি জানাজানি হয়।

এ ঘটনায় ভুক্তভোগী পরিবারের পক্ষ থেকে অপহরণ ও ধর্ষণ মামলার প্রস্তুতি চলছে বলে জানান ওই শিক্ষার্থীর ভগ্নিপতি সোহেল রানা।

শিক্ষার্থীর বাবা জানান, ঘটনার দিন রাত ১২টার দিকে পরিবারের সবাই রাতের খাওয়া-দাওয়া শেষে ঘুমিয়ে পড়েন। গভীর রাত আনুমানিক দেড়টার দিকে তিনি বাড়ির আঙিনায় মেয়ের কান্নার আওয়াজ পেয়ে ঘর থেকে বের হয়ে দেখেন তার মেয়ের গাল বেয়ে রক্ত ঝরছে। শরীরের বিভিন্ন স্থানে আচড়ের চিহ্ন। পরে রাতেই মেয়েকে ঢোলারহাট বাজারের পল্লী চিকিৎসক লিজা বিশ্বাসের কাছে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে তিনি ইউনিয়ন পরিষদের স্থানীয় মেম্বারকে বিষয়টি জানান। পরদিন সকালে স্থানীয় মেম্বার ও মেয়েকে নিয়ে রুহিয়া থানায় নিয়ে গেলে পুলিশ ভিকটিমকে হাসপাতালে নিয়ে যায়।

হাসপাতালের বিছানায় কান্নাজড়িত কণ্ঠে ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী জানায়, ঘটনার দিন তার “প্রেমিক” ইসলামনগর হাইস্কুলের দশম শ্রেণির ছাত্র ও পুরাতন ঠাকুরগাঁও দেবিগঞ্জ গ্রামের সুজনের ফোন পেয়ে বাড়ির সবার অগোচরে সে ঘর থেকে বের হয়ে আসে। এরপর তার প্রেমিক তাকে মোটরসাইকেলযোগে একটি মুরগির খামারের ভিতরে নিয়ে গিয়ে চার-পাঁচজন মিলে ধর্ষণ করে। এ সময় সে জ্ঞান হারায়। জ্ঞান ফিরে দেখে সে তার বাড়ির পাশের রাস্তায় পড়ে রয়েছে। পরে সেখান থেকে কোনোরকমে সে বাড়িতে পৌঁছায়। এ ঘটনার জন্য দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানায় সে।

এ বিষয়ে রুহিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) চিত্তরঞ্জন রায় বলেন, “লিখিত অভিযোগ পাইনি। মেয়েটির বর্ণনামতে ঘটনাস্থল শনাক্ত করা হয়েছে। আসামিদের চিহ্নিত করার চেষ্টা চলছে।”

ওই পুলিশ কর্মকর্তা আরও জানান, গতকাল মঙ্গলবার ভিকটিমের ডাক্তারী পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে।

XS
SM
MD
LG