অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

আফ্রিকান ফুটবল আদিবাসী সম্প্রদায়ের মধ্যে শিক্ষাকে অনুপ্রাণিত করতে পারে বলে আশাবাদী ক্যামেরুন


আফ্রিকা কাপ অফ নেশনস – এর কোয়ার্টার ফাইনালে গাম্বিয়া বনাম ক্যামেরুন ম্যাচের ছবি। ২৯ জানুয়ারী, ২০২২।
আফ্রিকা কাপ অফ নেশনস – এর কোয়ার্টার ফাইনালে গাম্বিয়া বনাম ক্যামেরুন ম্যাচের ছবি। ২৯ জানুয়ারী, ২০২২।

লোমি, ক্যামেরুন — আফ্রিকার শীর্ষ ফুটবল টুর্নামেন্ট, আফ্রিকা ফুটবল কাপ অফ নেশনস বা অ্যাফকন, বাকা জনগোষ্ঠীর মধ্যে শিক্ষা প্রচারের উদ্দেশ্যে ব্যবহার করছেন ক্যামেরুনের কর্মকর্তারা। বাকারা রেইন ফরেস্টে শিকারী-সংগ্রাহক হিসাবে বাস করেন, যেখানে সামাজিক অনুষ্ঠানগুলিতে অংশগ্রহণের সুযোগ তাদের খুবই কম। বর্তমানে অ্যাফকন টুর্নামেন্টের খেলা টিভিতে দেখতে তারা স্থানীয় গ্রামগুলোতে আসতে শুরু করেছে।

এমবাং গ্রামের একজন আদিবাসী ব্যক্তি ক্যামেরুনের জাতীয় ফুটবল দল, ইনডমিটেবিল লায়ন্স-এর সমর্থক, তিনি চলমান আফ্রিকা ফুটবল কাপ অফ নেশনস-এ ক্যামেরুনের এই জাতীয় দলকে টুর্নামেন্টের চ্যাম্পিয়ন হিসেবে দেখতে চান।

এমবাং হল ক্যামেরুনের পূর্ব সীমান্তের কাছে লোমি জেলার একটি গ্রাম। ৯ জানুয়ারী অ্যাফকন শুরু হওয়ার পর থেকে অনেক আদিবাসী ফুটবল অনুরাগী ম্যাচ দেখার জন্য এইরকম গ্রাম গুলোতে জড়ো হচ্ছে।

স্থানীয় কর্মকর্তা এবং ব্যবসায়ীরা বিভিন্ন স্থানে টেলিভিশন সেটে খেলা দেখার সুবিধা করে দিয়ে, সমর্থক গোষ্ঠী তৈরি করেছেন, যাতে আদিবাসীরা খেলা দেখতে পারে।

শনিবার, ক্যামেরুন গাম্বিয়াকে ২-০ গোলে হারিয়ে প্রতিযোগিতার সেমিফাইনালে যাওয়ার যোগ্যতা অর্জন করায় ভক্তরা আনন্দিত।

৫৪ বছর বয়সী ফল বিক্রেতা জাম্বে এনগুইলা নিজেকে একজন আদিবাসী বলেই উল্লেখ করেন।

এনগুইলা বলেছেন, তিনি স্থানীয় আদিবাসী এবং তার ভাই-বোনদের জন্য একটি ৩২ ইঞ্চি টিভি সেট কিনেছেন, যাতে তারা অ্যাফকন-এর ম্যাচগুলো দেখতে পারে। তবে, এই গ্রামে কোনও বিদ্যুৎ না থাকায়, তাকে টিভি দেখার জন্য সৌর বিদ্যুৎ প্রযুক্তি কিনতে হয়েছে।

এনগুইলা বলেন, প্রতিটা ম্যাচের সময় কমপক্ষে ৩০ জন দর্শক আসেন খেলা দেখতে। আর ক্যামেরুনের খেলা থাকলে এই সংখ্যা প্রায় দ্বিগুণ হয়।

সরকার এই পরিস্থিতির সুযোগ নেওয়ার চেষ্টা করছে। দেশটির প্রাথমিক শিক্ষা মন্ত্রক বলেছে, তারা আদিবাসী ফুটবল ভক্তদের সাথে কথা বলতে এবং শিশুদের স্কুলে পাঠাতে অভিভাবকদের উত্সাহিত করার জন্য কমপক্ষে ২০০ শিক্ষক প্রেরণ করেছে।

ক্যামেরুনের জাতীয় পরিসংখ্যান ইনস্টিটিউট বলছে, দেশটিতে প্রায় ৮০,০০০ আদিবাসী রয়েছে এবং তাদের প্রায় তিন-চতুর্থাংশ শিশু স্কুলে যায় না।

সরকার বলেছে, তারা শিশুদের শিক্ষাগত চাহিদা মিটানোর উদ্দেশ্যে বনাঞ্চলগুলোতে নতুন নতুন স্কুল তৈরি করছে।

XS
SM
MD
LG