অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

দারফুরের বিদ্রোহীরা লিবিয়ায় অর্থ আয় করে, জানালেন জাতিসংঘ বিশেষজ্ঞরা


ফাইল - সুদানের সার্বভৌম কাউন্সিলের তৎকালীন প্রধান, জেনারেল আবদেল-ফাত্তাহ বুরহান দক্ষিণ সুদানের রাষ্ট্রপতি সালভা কির এবং চাদের রাষ্ট্রপতি ইদ্রিস ডেবি শান্তি চুক্তিতে স্বাক্ষরের জন্য একটি অনুষ্ঠানে যোগ দেন।
ফাইল - সুদানের সার্বভৌম কাউন্সিলের তৎকালীন প্রধান, জেনারেল আবদেল-ফাত্তাহ বুরহান দক্ষিণ সুদানের রাষ্ট্রপতি সালভা কির এবং চাদের রাষ্ট্রপতি ইদ্রিস ডেবি শান্তি চুক্তিতে স্বাক্ষরের জন্য একটি অনুষ্ঠানে যোগ দেন।

সুদানের দারফুর এর জঙ্গিগোষ্ঠীগুলো এখনও তেল সমৃদ্ধ উত্তর আফ্রিকার দেশ লিবিয়ায় কার্যক্রম পরিচালনা করছে এবং সেখানে গৃহযুদ্ধ ও সরকারী নিয়ন্ত্রণের অভাবের সুযোগ নিয়ে মুনাফা করে চলেছে বলে, জাতিসংঘের বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন। ২০২০ সালে সুদানের সরকারের সাথে গোষ্ঠীগুলো একটি শান্তি চুক্তি স্বাক্ষর করেছিল।

জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের কাছে শুক্রবার প্রচারিত এক প্রতিবেদনে বিশেষজ্ঞদের এই প্যানেলটি জানায় যে, বিদ্রোহীদের অভ্যন্তরীণ একাধিক সূত্র বলেছে যে তাদের লিবিয়া থেকে পুরোপুরি চলে যাওয়ার কোন ইচ্ছা নেই। এর কারণ যে তারা তাদের খাদ্য ও জ্বালানী সহ তাদের রসদ ও অর্থের বেশিরভাগই সেখানে সংঘটিত সহিংসতা থেকে পায়। বিশেষজ্ঞদের ঐ প্যানেলটি ২০০৩ সালে দারফুরে সহিংসতার কারণে আরোপিত নিষেধাজ্ঞাগুলো পর্যবেক্ষণ করে থাকে।

২০১১ সালে নেটো সমর্থিত একটি বিপ্লবের মধ্য দিয়ে লিবিয়ার স্বৈরশাসক মুয়াম্মার গাদ্দাফি ক্ষমতাচ্যুত ও পরে নিহত হন। তারপর থেকেই লিবিয়া অশান্তির মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। এরপর প্রতিদ্বন্দ্বী সরকারগুলোর মধ্যে লিবিয়া বিভক্ত হয়ে পড়ে। হিফতার সমর্থিত অংশটি পূর্বে এবং জাতিসংঘ সমর্থিত প্রশাসনটি রাজধানী ত্রিপোলিতে নিয়ন্ত্রণ নেয়। উভয়ই বিভিন্ন সশস্ত্র দল ও বিদেশী শক্তির সমর্থন পায়।

২০১৯ সালের এপ্রিলে হিফতার, মিশর ও সংযুক্ত আরব আমিরাতের সমর্থনে ত্রিপোলি দখলের চেষ্টায় একটি আক্রমণ চালায়। তুরস্ক জাতিসংঘ সমর্থিত সরকারকে সমর্থন করতে শত শত সৈন্য ও সিরিয়ার হাজার হাজার ভাড়াটে সৈনিক দিয়ে তাদের সামরিক সহায়তা বৃদ্ধি করে, যার ফলে হিফতার এর আক্রমণ ব্যর্থ হয়ে যায়।

২০২০ সালের অক্টোবরের একটি যুদ্ধবিরতি চুক্তি লিবিয়া থেকে সকল বিদেশী সৈন্যের প্রত্যাহারের আহ্বান করে। এর ফলে ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারির শুরুতে একটি ক্রান্তিকালীন অন্তর্বর্তী সরকারের বিষয়ে ঐকমত্য হয়। ডিসেম্বরের ২৪ তারিখে যে নির্বাচনটি হওয়ার কথা ছিল সেটি পিছিয়ে গিয়েছে।

বিশেষজ্ঞদের প্যানেলটি জানায় যে যদিও যুদ্ধবিরতি চুক্তিতে সকল বিদেশী সেনাদের লিবিয়া ছাড়তে বলা হয়েছিল, তবুও বিভিন্ন এলাকায় নিরাপত্তা দিতে ও নিরাপত্তা চৌকিগুলোতে টহল দিতে “দারফুরের বেশিরভাগ গোষ্ঠীই লিবিয়ার জাতীয় সেনাবাহিনীর অধীনে লিবিয়ায় কাজ করে যেতে থাকে”।

বিশেষজ্ঞরা বলেন যে, তাদের কাজের বিনিময়ে ২০২০ সালে জুবা শান্তিচুক্তি স্বাক্ষরকারী দারফুরের পাঁচটি প্রদান বিদ্রোহীগোষ্ঠী অর্থ ও সরজ্ঞামের সহায়তা পেয়ে থাকে।

XS
SM
MD
LG