অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

প্রতিবাদকারীদের সরিয়ে দিয়ে পুলিশ খুলে দিল যুক্তরাষ্ট্র-কানাডা সংযোগকারী সেতু  



কোভিড-১৯ বিধিনিষেধের বিরোধিতাকারীরা শনিবার বাফেলোর পিস ব্রিজের গাড়িগুলোকে স্বাগত জানাচ্ছেন,১২ই ফেব্রুয়ারী, ২০২২, ছবি/জশুয়া বেসেক্স/এপি
কোভিড-১৯ বিধিনিষেধের বিরোধিতাকারীরা শনিবার বাফেলোর পিস ব্রিজের গাড়িগুলোকে স্বাগত জানাচ্ছেন,১২ই ফেব্রুয়ারী, ২০২২, ছবি/জশুয়া বেসেক্স/এপি

প্রায় এক সপ্তাহ ধরে কোভিড-১৯ এর বাধানিষেধের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ-বিক্ষোভের পর রবিবার বিকেলে খুলে দেয়া হয়েছে ব্যস্ততম যুক্তরাষ্ট্র -কানাডা সীমান্ত সংযোগকারী ব্রিজটি ; তবে কানাডার পুলিশ কর্মকর্তারা রাজধানী অটোয়াতে আরও বড় ধরণের প্রতিবাদের বিরুদ্ধে দমন অভিযান চালাতে বিরত থাকেন।

ডেট্রয়েট ইন্টারন্যাশনাল ব্রিজ কোম্পানি এক বিবৃতিতে জানায় "অ্যাম্বাসেডর ব্রিজ যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডার মধ্যে মুক্ত বাণিজ্যিক চলাচলের জন্য এখন উন্মুক্ত"।

এই ব্রিজটি দিয়ে দুটি দেশের সকল বাণিজ্যের ২৫ শতাংশ চলাচল করে এবং কানাডার অংশে ব্রিজ অবরোধের কারণে দুটি দেশের বাণিজ্য ব্যাহত হয়েছে এবং গাড়ি প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠানগুলি তাদের কয়েকটি সংযোজনকারী প্রকল্প বন্ধ করে দেয়।

ওন্টারিও'র উইন্ডসর শহরের পুলিশ দিনের শুরুতে জানায় যে তারা ব্রিজের কাছে বাদবাকি প্রতিবাদকারীদের সরিয়ে নেয়ার পর শান্তিপূর্ণ ভাবেই দুই ডজন লোককে গ্রেফতার, ৭টি গাড়ি সরিয়ে নেয়া এবং ৫টি গাড়ি আটক করতে সমর্থ হয়। এই ব্রিজটি ডেট্রয়েটের সঙ্গে কানাডার শহর ও বহু গাড়ি নির্মাণ প্রতিষ্ঠানকে সংযুক্ত করেছে।

অটোয়াতে এই বিক্ষোভ শহরের কেন্দ্রস্থলের কর্মকান্ড ব্যাহত করে, পুলিশের নিষ্ক্রিয় ভূমিকায় বীতশ্রদ্ধ হন নগরের বাসিন্দারা। তারা প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোর প্রতি চাপ সৃষ্টি করেন এবং যিনি রবিবার বিকেলে মন্ত্রিসভার এক বৈঠক সভাপতিত্ব করেন।

এসব বিক্ষোভ সমগ্র কানাডা ও তার বাইরেও প্রভাব ফেলেছে ; ফ্রান্স, নিউ জিলান্ড ও নেদারল্যান্ডসের কনভয়গুলিতেও এর প্রভাব পড়ে। যুক্তরাষ্ট্রের হোমল্যান্ড সিকিউরিটি দপ্তর যুক্তরাষ্ট্রের ট্রাক কনভয়ের ওপর এর প্রভাব পড়তে পারে বলে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে। কানাডার শিল্পমন্ত্রী, ফ্রাঁসোয়া ফিলিপে শ্যাম্পেইন পরিস্থিতির উন্নয়নকে স্বাগত জানান। টুইটার বার্তায় লেখেন, "সুসংবাদ, অ্যাম্বাসেডর সেতু পুনরায় খুলে দেয়াতে আমরা সন্তোষ প্রকাশ করছি"।

প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের প্রশাসন রবিবার দৃশ্যত বিক্ষোভের শান্তিপূর্ণ নিষ্পত্তিকে স্বাগত জানান, যে বিক্ষোভ সীমান্তের দুই প্রান্তে “জনগণের জীবন ও জীবিকার ব্যাপক ক্ষতিসাধন করে”।

প্রধানমন্ত্রী ট্রুডো এ যাবত সামরিক বাহিনীকে ব্যবহার করার দাবি প্রত্যাখ্যান করেন, তবে বলেন প্রতিবাদ-বিক্ষোভ থামাতে সব ধরণের বিকল্প পথ খোলা থাকবে। প্রধানমন্ত্রী ট্রুডো বলেন, প্রতিবাদকারীরা কানাডার মূল স্রোতধারার লোক নন।

কানাডার ৯০ শতাংশ ট্রাকচালক টিকা নিয়েছেন এবং ট্রাকের এসোসিয়েশন ও বড় বড় ট্রাক চালকেরা এসব বিক্ষোভের প্রতি ধিক্কার জানিয়েছেন। যুক্তরাষ্ট্রের চাইতে কানাডায় মহামারীর বিধিনিষেধে বেশি কড়াকড়ি ভাবে আরোপিত হয়েছে এবং কানাডার বেশির ভাগ জনগণ তা সমর্থন করেছেন। কানাডার সংখ্যাগরিষ্ঠ লোক টিকা নিয়েছেন এবং যুক্তরাষ্ট্রের চাইতে কানাডায় কোভিড জনিত মৃত্যুর অনুপাত হচ্ছে এক তৃতীয়াংশ ।

XS
SM
MD
LG