অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

মানবাধিকার প্রধান চীনের জিনজিয়াং সফর করুন : জাতিসংঘ মহাসচিব


ছবিতে দেখা যাচ্ছে মুসলিম জাতিগত উইঘুর দুজন মহিলা চীনের জিনজিয়াং অঞ্চলের রাজধানী উরুমকিতে একটি রাস্তায় টহলরত চীনা আধাসামরিক পুলিশদের পাশ দিয়ে হেটে যাচ্কছেন। ৩ জুলাই, ২০১০, ছবি-এএফপি
ছবিতে দেখা যাচ্ছে মুসলিম জাতিগত উইঘুর দুজন মহিলা চীনের জিনজিয়াং অঞ্চলের রাজধানী উরুমকিতে একটি রাস্তায় টহলরত চীনা আধাসামরিক পুলিশদের পাশ দিয়ে হেটে যাচ্কছেন। ৩ জুলাই, ২০১০, ছবি-এএফপি

জেনারেল আন্তোনিও গুতেরেস শুক্রবার বলেছেন তিনি "সংকল্পবদ্ধ" যে তার মানবাধিকার প্রধানের চীনের আধা-স্বায়ত্তশাসিত জিনজিয়াং প্রদেশে একটি "বিশ্বাসযোগ্য" সফর করা উচিত। যেখানে জাতিগত উইঘুর এবং তুর্কি মুসলিম সংখ্যালঘুরা বাস করে।

গুতেরেস বলেন, “এটি চীনের স্বার্থের জন্যই। তাদের বিরুদ্ধে যে অভিযোগ রয়েছে তা যদি সত্যি না হয়ে থাকে তাহলে হাই কমিশনারের চীন সফরে চীনেরই লাভ হবে আর এই সফর যাতে হয় তার জন্য আমরা সব কিছুই করবো”। গুতেরেস বলেন, “ যদি এটি না হয়, অবশ্যই হাইকমিশনার তার উপর অর্পিত ক্ষমতার সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেবেন।"

জাতিসংঘ প্রধান জার্মানিতে মিউনিখ নিরাপত্তা সম্মেলনের চেয়ারম্যান রাষ্ট্রদূত উলফগ্যাং ইশিংগারের এক প্রশ্নের জবাবে এই মন্তব্য করেন।

জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনার মিশেল ব্যাচেলেট গত তিন বছর ধরে জিনজিয়াং সফর নিয়ে আলোচনার চেষ্টা করছেন। চীনা কর্মকর্তারা সম্প্রতি বলেছেন যে তাকে আলোচনার জন্য আসতে দেওয়া হবে, তবে তদন্তের জন্য নয়। বেইজিং অস্বীকার করে যে তারা উইঘুরদের অধিকার লঙ্ঘন করে এবং বলে যে তারা সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়াই করছে।

অধিকার গোষ্ঠী এবং যুক্তরাষ্ট্রের সরকার, বেইজিংকে নির্যাতন, জোরপূর্বক বন্ধ্যাকরণ, যৌন সহিংসতা এবং জোরপূর্বক শিশুদের বিচ্ছেদ সহ উইঘুরের অধিকারের গুরুতর লংঘনের জন্য অভিযুক্ত করে। তাদের ব্যাপক নজরদারির মধ্যে রাখা হয়েছে এবং দশ লাখেরও বেশি উইঘুরকে আটক শিবিরে পাঠানো হয়েছে।

চীন এই অভিযোগকে ভিত্তিহীন বলে উড়িয়ে দিয়েছে এবং বলেছে যে জিনজিয়াং স্থিতিশীলতা, উন্নয়ন এবং সমৃদ্ধি উপভোগ করে। বেইজিং তার অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপের জন্য অন্যান্য দেশকেও কটাক্ষ করেছে।

XS
SM
MD
LG