অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

উত্তর কোরিয়া প্রসঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রকে চীনের মোকাবেলা করতে হবে:বোল্টন 


ফাইল ছবি,দক্ষিণ কোরিয়ার জনগণ রেলওয়ে স্টেশনে উত্তর কোরিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণের দৃশ্য দেখছেন, ২৫শে জানুয়ারী ২০২২/ছবি/এপি
ফাইল ছবি,দক্ষিণ কোরিয়ার জনগণ রেলওয়ে স্টেশনে উত্তর কোরিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণের দৃশ্য দেখছেন, ২৫শে জানুয়ারী ২০২২/ছবি/এপি

হোয়াইট হাউজের সাবেক জাতীয় নিরাপত্তা পরামর্শক বলেছেন উত্তর কোরিয়াকে পরমাণুমুক্ত করতে চীনের প্রভাব সম্পর্কে বাইডেন প্রশাসন কতটুকু আন্তরিক তা প্রদর্শন করতে হবে, কারণ উত্তর কোরিয়ার পরমাণু ও ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচি ব্যাপারে ওয়াশিংটনের বিকল্প ব্যবস্থা নেয়ার সুযোগ দ্রুতই ফুরিয়ে আসছে।

সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসনে ২০১৮ সালের এপ্রিল থেকে ২০১৯ সালের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত জাতীয় নিরাপত্তা পরামর্শদাতা জন বোল্টন বলেন, "আমরা বহু বছর ধরে চীনকে উত্তর কোরিয়ার দায়িত্ব থেকে অব্যাহতির সুযোগ দিয়েছি। বেইজিংয়ের প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের নীতির পুনর্বিন্যাস ঘটিয়ে উত্তর কোরিয়া বিষয়ে চীনের দায়-দায়িত্বকে এখন মনোযোগের মূল বিষয়বস্তু করতে হবে"।

ভয়েস অব আমেরিকার কোরিয়ান সার্ভিসের সঙ্গে সাক্ষাৎকারে বোল্টন শুক্রবার বলেন, "উত্তর কোরিয়ার মাঝারি পাল্লার বর্তমান ব্যালিস্টিক ক্ষেপনাস্ত্রের অত্যাসন্ন ঝুঁকি থাকা সত্ত্বেও, পরমাণু অস্ত্র ও ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচি মোকাবেলা বিষয়ে বাইডেন প্রশাসনের বিকল্প ব্যবস্থা গ্রহণের সুযোগ দ্রুত ফুরিয়ে আসছে"।

উত্তর কোরিয়া জানুয়ারী মাসে যুক্তরাষ্ট্রের গুয়াম এলাকায় পৌঁছাতে সক্ষম এমন ১১টি ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা চালায়। এই পরীক্ষার মাধ্যমে তারা মাসব্যাপী মাঝারি পাল্লার ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা সমাপ্ত করলো ।

২০১৯ সালের অক্টোবর থেকে ওয়াশিংটন ও পিয়ংইয়াংয়ের মধ্যেকার পরমাণুমুক্ত করার আলোচনা থমকে রয়েছে।

বোল্টন বলেন, পিয়ংইয়াংয়ের পারমানবিক অস্ত্র-প্রসারের হুমকি বৃদ্ধি পাচ্ছে প্রতিদিনই। তিনি বলেন বাইডেন প্রশাসনকে নিশ্চিত করতে হবে যে উত্তর কোরিয়ার পরমাণু ক্ষমতায়ন চীন যে চায় না সেই বিবৃতিকে সমর্থন করতে চীন যেন পদক্ষেপ নেয়।

বোল্টন বলেন, উত্তর কোরিয়া আলোচনার মাধ্যমে তাদের পরমাণু অস্ত্র ও ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচি পরিত্যাগ করবে এমনটি আশা করা যায় না। তিনি জোর দিয়ে বলেন যুক্তরাষ্ট্রকে সম্ভাব্য সরকার পরিবর্তন অথবা শক্তি প্রয়োগের ব্যাপারটিকে বিকল্প ব্যবস্থা হিসাবে বিবেচনা করতে হবে।

বোল্টন বলেন, "যুক্তরাষ্ট্র এই ধরণের এক সরকারের জিম্মি হয়ে থাকতে পারে না"। তাই সরকার পরিবর্তন বা প্রয়োজনে উত্তর কোরিয়ার পরমাণু কর্মসূচির বিরুদ্ধে শক্তির ব্যবহারকে উড়িয়ে দেয়া যায় না"।

অন্যান্য বিশেষজ্ঞরা মনে করেন যুক্তরাষ্ট্রকে কূটনৈতিক সমাধানের প্রয়াস অব্যাহত রাখতে হবে। বাইডেন প্রশাসন জানিয়েছে যে উত্তর কোরিয়ার সঙ্গে কূটনৈতিক সমাধানে যুক্তরাষ্ট্র প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। জন বোল্টন ২০১৮ সালে সিঙ্গাপুরে এবং পরে ২০১৯ সালে হ্যানয়ে ট্রাম্প ও কিমের মধ্যকার দুটি শীর্ষ বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।

XS
SM
MD
LG