অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

পুতিনের সাথে ফোনালাপে সংঘাত অবসানের আহ্বান মোদীর


ফাইল- রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন এবং ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ভারতের নয়াদিল্লিতে হায়দ্রাবাদ হাউসে তাদের বৈঠকের জন্য পৌঁছান৷ ৫ অক্টোবর ২০১৮।
ফাইল- রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন এবং ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ভারতের নয়াদিল্লিতে হায়দ্রাবাদ হাউসে তাদের বৈঠকের জন্য পৌঁছান৷ ৫ অক্টোবর ২০১৮।

ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এক ফোনালাপের সময়ে, রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে ইউক্রেনে সংঘাত অবসানের জন্য আহ্বান জানান বলে, ভারত সরকার জানিয়েছে।

রাশিয়ার বাহিনী ইউক্রেন আক্রমণ আরম্ভ করার পর এই দুই নেতার মধ্যে ফোনালাপটি হয়।

ভারত সরকার বৃহস্পতিবার এক বিবৃতিতে জানায়, “প্রধানমন্ত্রী অনতিবিলম্বে সংঘাতের সমাপ্তির আবেদন করেন এবং সংশ্লিষ্ট সকল পক্ষকে কূটনৈতিক সংলাপ ও আলোচনার পথে ফিরে আসার সম্মিলিত প্রচেষ্টার আহ্বান জানান।”

বিবৃতিটিতে বলা হয় যে, মোদী রাশিয়ার নেতার কাছে “রাশিয়া ও নেটোর মধ্যকার পার্থক্য শুধুমাত্র সৎ ও আন্তরিক আলোচনার মাধ্যমেই সমাধান করা সম্ভব বলে, তার দীর্ঘদিনের দৃঢ় বিশ্বাসটি” পুনর্ব্যক্ত করেছেন।

এর আগে বৃহস্পতিবার, ভারতে ইউক্রেনের দূত, ইগর পোলিখা, নয়া দিল্লীকে হস্তক্ষেপের অনুরোধ করে বলেন যে, তিনি ভারতের সমর্থনের জন্য “ আবেদন ও অনুরোধ করছেন”।

সংবাদকর্মীদের তিনি বলেন, “যখনই কোন স্বৈরতান্ত্রিক শাসকগোষ্ঠী কোন গণতান্ত্রিক দেশের বিরুদ্ধে আগ্রাসন চালায়, তখনই ভারতের পরিপূর্ণরূপে তাদের বৈশ্বিক ভূমিকার দায়িত্বগ্রহণ করা উচিৎ।”

এখনও পর্যন্ত ভারত ইউক্রেনে রাশিয়ার সামরিক অভিযানের নিন্দা জ্ঞাপন করেনি। ভারত চলমান সঙ্কটটিতে খুবই সাবধানতার সাথে পদক্ষেপ গ্রহণ করছে। রাশিয়া ও ইউক্রেনের সংঘাতটি নতুন দিল্লীর জন্য কূটনৈতিকভাবে এক উভয়সঙ্কট সৃষ্টি করেছে।

যদিও ভারত ও যুক্তরাষ্ট্র কৌশলগতভাবে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক তৈরি করেছে, তবুও নতুন দিল্লী মস্কোর সাথেও নিরাপত্তা বিষয়ক সম্পর্ক রক্ষা করে চলে। রাশিয়া এখনও ভারতের অধিকাংশ সমরাস্ত্র সরবরাহ করে থাকে।

ভারতের পররাষ্ট্র সচিব, হর্ষ বর্ধন শ্রিংলা বৃহস্পতিবার এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন যে, পরিস্থিতিটি “জটিল” ও “বিকাশমান” এবং “কোন দেশই সেটি আগে থেকে বুঝতে পারেনি”।

XS
SM
MD
LG