উত্তর কোরিয়া ইঙ্গিত দিয়েছে যে রবিবার তারা পরিকল্পিত পর্যবেক্ষণ স্যাটেলাইটের জন্য একটি নিন্ম পর্যায়ের পরীক্ষা চালিয়েছে, যাতে এই উদ্বেগের সৃষ্টি হয়েছে যে দেশটি আরো গুরুত্বপূর্ণ দীর্ঘ পাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা করার ইঙ্গিত দিচ্ছে।
উত্তর কোরিয়ার সংবাদ মাধ্যম (কেসিএনএ) সোমবার জানায় "এই গুরুত্বপূর্ণ পরীক্ষা উচ্চতর ক্যামেরা রেজালুশন ব্যবস্থা যা স্যাটেলাইটে প্রতিস্থাপন করা হবে তার গুনাগুন, তথ্য সরবরাহ ব্যবস্থা, মনোভাব নিয়ন্ত্রণ ও তার সঠিক কর্মক্ষমতা নিশ্চিত করেছে"। এই পরীক্ষাটি ছিল উত্তর কোরিয়ার জাতীয় এরোস্পেস উন্নয়ন প্রশাসন এবং একাডেমী অফ ডিফেন্স সায়েন্সের তদারকিতে "খুব তাৎপর্যপূর্ণ এক পরীক্ষা"।
দক্ষিণ কোরিয়া ও জাপানের সামরিক বাহিনী জানায় রবিবারের উৎক্ষেপণ ছিল এ বছরে উত্তর কোরিয়ার অষ্টম পরীক্ষা এবং বেইজিং অলিম্পিকস শেষে প্রথম। তারা জানান এটি ছিল সম্ভবত একটি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা।
উত্তর কোরিয়া ২০১৬ সালের ফেব্রুয়ারিতে সর্বশেষ যে স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ করেছিল, যুক্তরাষ্ট্র দক্ষিণ কোরিয়া ও জাপান সেটিকে দূর পাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা বলে তার নিন্দা জানিয়েছিল।
রবিবারের উৎক্ষেপণের পর উত্তর কোরিয়া বিষয়ক যুক্তরাষ্ট্রের বিশেষ দূত, সুং কিম টেলিফোনে তার দক্ষিণ কোরিয়া ও জাপানের প্রতিপক্ষকে লৌহসম সংহতি ও কোরীয় উপদ্বীপকে সম্পূর্ণ পরমাণুমুক্ত করতে মিলিত লক্ষ্যের কথা পুনর্ব্যক্ত করেন।
যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তর জানিয়েছে বিশেষ দূত কিম এই উৎক্ষেপণের নিন্দা জানিয়েছেন, যা জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের বিবিধ প্রস্তাব লঙ্ঘন করেছে এবং যা আঞ্চলিক স্থিতিশীলতার প্রতি এখন মারাত্মক হুমকি স্বরূপ। তবে একাধারে তিনি উত্তর কোরিয়ার সঙ্গে "গুরুতর ও টেকসই কূটনীতিতে" সম্পৃক্ত হওয়ার প্রস্তুতির কথা পুনর্ব্যক্ত করেন।