অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

বাংলাদেশে ২৮ বছরে মেয়েদের পাসের হার বেড়েছে আড়াই গুণ—শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি


বাংলাদেশ সরকারের শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। (ছবি- ইউএনবি)
বাংলাদেশ সরকারের শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। (ছবি- ইউএনবি)

বাংলাদেশে গত ২৮ বছরে মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক স্তরে মেয়েদের পাসের হার বেড়েছে আড়াই গুণ। এ কথা বলেছেন বাংলাদেশ সরকারের শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি।

মঙ্গলবার (৮ মার্চ) বাংলাদেশ সরকারের মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয় আয়োজিত নারী দিবসের অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

দীপু মনি বলেন, “১৯৯০ সালে ৩০ শতাংশ মেয়ে মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি) পরীক্ষায় পাস করেছিল। ২০১৯ সালে পাস করেছে ৮৩ শতাংশের বেশি মেয়ে। ১৯৯০ সালে উচ্চ মাধ্যমিক সার্টিফিকেট (এইচএসসি) পরীক্ষায় পাস করেছিল ৩১ শতাংশ মেয়ে। আর ২০১৯ সালে পাস করেছে প্রায় ৭৫ শতাংশ মেয়ে।”

তিনি বলেন, “ব্যানবেইসের ২০১৯ সালের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ এডুকেশন স্ট্যাটিসটিকস ২০২০ সালের প্রতিবেদন অনুযায়ী মাধ্যমিকে পর্যায়ে মোট শিক্ষার্থীর ৫৫ দশমিক শূন্য ৭ শতাংশ নারী। উচ্চমাধ্যমিকে ৫০ দশমিক ২৭ এবং বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে ৩৫ দশমিক ২১ শতাংশ শিক্ষার্থী মেয়ে। আর মাদরাসা শিক্ষা পর্যায়ে মোট ৫৫ দশমিক ২৫ শতাংশ শিক্ষার্থী মেয়ে।”

অনুষ্ঠানে তিনি জানান, প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষা সহায়তা ট্রাস্ট থেকে স্নাতক ও সমমান পর্যায়ে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে ৭৫ শতাংশ নারী শিক্ষার্থীদের উপবৃত্তি দেওয়া হয়। প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষা সহায়তা ট্রাস্টের মাধ্যমে ২০১২-১৩ থেকে ২০২০-২১ অর্থবছর পর্যন্ত স্নাতক ও সমমান পর্যায়ে ৯ লাখ ৭১ হাজার ৮৭৩ জন নারী শিক্ষার্থীকে উপবৃত্তি বাবদ ৪৭৬ কোটি ২১ লাখ ৭৭ হাজার ৭০০ টাকা বিতরণ করা হয়েছে।

দীপু মনি বলেন, “নারী উন্নয়নে এখন সারাবিশ্বে বাংলাদেশ রোল মডেল। উন্নয়নের এই অগ্রযাত্রা যেন থেমে না যায় তাই কোভিড-১৯ মহামারির প্রকোপ নিয়ন্ত্রণে আমাদের ছিল সময়োচিত, সমন্বিত বহুমুখী উদ্যোগ। মহামারি মোকাবিলায় ও অর্থনীতিকে সচল রাখতে বিভিন্ন সময়ে ২৮টি প্রণোদনা প্যাকেজের মাধ্যমে প্রায় এক হাজার ৪৬০ কোটি ডলার বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। করোনার কারণে ক্ষতিগ্রস্ত নারীদের আর্থিক সাহায্য ও কর্মসংস্থান সৃষ্টির জন্য বঙ্গমাতার ৯১তম জন্মবার্ষিকীতে ৬৪ জেলায় দুঃস্থ নারীদের মাঝে চার হাজার সেলাই মেশিন ও দুই হাজার জন দুঃস্থ ও অসহায় নারীদের মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে দুই হাজার টাকা করে মোট চল্লিশ লাখ টাকা দেওয়া হয়েছে। গত বছর মহামারির প্রাদুর্ভাবের শুরু থেকে প্রায় চার কোটি মানুষকে নগদ অর্থসহ অন্য সহায়তা দেওয়া হয়েছে।”

রাজধানী ঢাকার ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন ইউএন উইমেনের বাংলাদেশ প্রতিনিধি গীতাঞ্জলি সিং। সভাপতিত্ব করেন মহিলাবিষয়ক অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (অতিরিক্ত সচিব) ফরিদা পারভিন।

XS
SM
MD
LG