ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেন্সকি বৃহস্পতিবার জার্মানির কাছে সাহায্যের আবেদন করেন। জার্মানীর পার্লামেন্টকে তিনি বলেন যে, ইউরোপে “স্বাধীনতা এবং দাসত্বের মধ্যে” একটি নতুন দেয়াল তৈরি করা হচ্ছে।
প্রদত্ত ভিডিও বার্তাটিতে জেলেন্সকি বলেন, “এবং ইউক্রেনে নিক্ষিপ্ত প্রতিটি বোমা, প্রতিটি না নেওয়া সিদ্ধান্তের মধ্য দিয়ে এই দেয়ালটি বৃহত্তর হয়ে চলেছে”।
রাশিয়া থেকে প্রাকৃতিক গ্যাস সরবরাহের জন্য, বর্তমানে নির্মাণ স্থগিত থাকা, নর্ড স্ট্রিম ২ সরবরাহ লাইনটির জন্য জার্মানীর সমর্থনের প্রতি নিন্দা জানিয়ে তিনি বলেন যে, জার্মানী নিজেদের অর্থনৈতিক স্বার্থকে ইউক্রেনের নিরাপত্তার চেয়ে বেশি প্রাধান্য দিয়েছে।
তিনি বলেন, “আমরা আপনাদের মুখাপেক্ষী হয়েছিলাম”। জেলেন্সকি আরও বলেন, “আমরা আপনাদের জানিয়েছিলাম যে, নর্ড স্ট্রিম যুদ্ধের জন্য এক ধরণের প্রস্তুতি।”
ইউক্রেনের সাহায্যের আবেদনটির প্রতি সাড়া জানিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বুধবার ৮০ কোটি ডলারের একটি সহায়তা পরিকল্পনা অনুমোদন করেন। পরিকল্পনাটির মধ্যে অস্ত্র ও প্রতিরক্ষা সামগ্রী রয়েছে। তবে, ইউক্রেনের উড্ডয়ন নিষিদ্ধ এলাকা ঘোষণার অনুরোধটি সেটিতে পূরণ করা হয়নি।
তবে, বাইডেন তার এবং রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের মধ্যকার বাকযুদ্ধের মাত্রাও বৃদ্ধি করেছেন।
দিনের শেষভাগের দিকে এক অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে বাইডেন বলেন, “আমি মনে করি তিনি একজন যুদ্ধাপরাধী”। আর বিস্তারিত কিছু না বলে তিনি সেখান থেকে চলে যান।
জবাবে, ক্রেমলিনের মুখপাত্র দ্যমিত্রি পেসকভ, ট্যাস সংবাদ সংস্থাকে বলেন যে, বাইডেনের বক্তব্যটি “অগ্রহণযোগ্য এবং ক্ষমার অযোগ্য বাগাড়ম্বরপূর্ণ ছিল”।
বিস্তারিত তথ্যের জন্য চাপ প্রয়োগ করা হলে, হোয়াইট হাউজের প্রেস সচিব জেন সাকি বলেন, “প্রেসিডেন্টের মন্তব্যটি নিজেই সব বলে দেয়”। তিনি বলেন, “তিনি নিজের অন্তর থেকে কথাগুলো বলছিলেন এবং আপনারা টেলিভিশনে যা দেখেছেন তা থেকে বলছিলেন, যেগুলো হল একটি বিদেশী দেশ আক্রমণের মাধ্যমে একজন নির্মম স্বৈরশাসকের দ্বারা সংঘটিত বর্বর কর্মকান্ড”।
বাইডেন বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের নতুন সহায়তা পরিকল্পনাটি “শুধু এই সপ্তাহেই ইউক্রেনের প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের নতুন নিরাপত্তা সহায়তাকে মোট ১০০ কোটি ডলারে উন্নীত করেছে”।