অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

বাংলাদেশের নারায়ণগঞ্জ জেলায় স্কুলছাত্রকে হত্যার অভিযোগে চারজনের মৃত্যুদণ্ড


আদালতের প্রতীক। (ছবি- অ্যাডোবে স্টক)
আদালতের প্রতীক। (ছবি- অ্যাডোবে স্টক)

বাংলাদেশের নারায়ণগঞ্জ জেলার সদর উপজেলার ফতুল্লায় এক স্কুলছাত্র হত্যায় জড়িত থাকার অভিযোগে চারজনকে মৃত্যুদণ্ড ও দুজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। এ ছাড়া অভিযুক্ত চারজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় তাদের খালাস দেওয়া হয়েছে।

রবিবার (২০ মার্চ) দুপুরে নারায়ণগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ দ্বিতীয় আদালতের বিচারক বেগম সাবিনা ইয়াসমিনের আদালত এ আদেশ দেন। রায় ঘোষণার সময় আদালতে দুজন উপস্থিত ছিলেন এবং বাকিরা পলাতক আছেন।

মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন—ইমনের আত্মীয় আবদুস সামাদের ছেলে সিরাজ (৪৫), আহম্মদ আলী (৫৫), আমান উল্লাহর ছেলে নাহিদ (২১), সেন্টু মিয়া (২৫)। যাবজ্জীবন প্রাপ্তরা হলেন—সিরাজুল ইসলাম সিরাজের স্ত্রী সালমা (৪২) ও আহমেদের স্ত্রী হুসনা (৪৭)। খালাসপ্রাপ্তরা হলেন—মন্টু মিয়া (২২), আমান উল্লাহর স্ত্রী আয়েশা (৪০), সিরাজুল ইসলাম সিরাজের ছেলে মামুন (২৪) ও আহম্মদের ছেলে খোরশেদ আলম (১৮)।

নিহত স্কুলছাত্রের নাম ইমন হোসেন (১৩)। সে ফতুল্লার চরাঞ্চল বক্তাবলীর কানাইনগর উচ্চ বিদ্যালয়ের ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্র ছিল এবং চর রাধানগর এলাকার ইসমাইল হোসেন ওরফে রমজান মিয়ার ছেলে।

কোর্ট পুলিশের পরিদর্শক আসাদুজ্জামান জানান, ২০১১ সালে ইমনের বড় ভাই ইকবালের (সিঙ্গাপুরপ্রবাসী) সঙ্গে চাচা আহম্মদ আলীর ঝগড়া হয়। এক পর্যায়ে ইকবালের লাঠির আঘাতে আহাম্মদ আলীর মাথা ফেটে যায়। এরপর থেকেই তাদের দুই পরিবারের মধ্যে দ্বন্দ্ব চলছিল। ওই ঘটনার পরে ইকবালকে দেখে নেওয়ার হুমকি দেওয়ায় তাকে সিঙ্গাপুর পাঠিয়ে দেয় পরিবার। প্রায় দুই বছর পর ইকবালের পরিবারের ওপর প্রতিশোধ নিতে ইমনকে হত্যার পরিকল্পনা করেন আহাম্মদ আলী।

সে অনুযায়ী, ২০১৩ সালের ১৩ জুন ইমনকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে হত্যার পর লাশ ৯ টুকরা করে ফেলে দেওয়া হয়। পরে ২২ জুন বাড়ির অদূরে একটি খেত থেকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়।

XS
SM
MD
LG