অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

ইউক্রেন সংঘাতে মুসলিম বিশ্ব ও চীনের মধ্যস্থতা চেয়েছে পাকিস্তান


পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান ইসলামাবাদের সংসদ ভবনে ৫৭-সদস্যের অর্গানাইজেশন অব ইসলামিক কো-অপারেশনের (ওআইসি) দুই দিনের অধিবেশনের শুরুতে বক্তৃতা দেন। ২২ মার্চ ২০২২। (ছবি- এপি)
পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান ইসলামাবাদের সংসদ ভবনে ৫৭-সদস্যের অর্গানাইজেশন অব ইসলামিক কো-অপারেশনের (ওআইসি) দুই দিনের অধিবেশনের শুরুতে বক্তৃতা দেন। ২২ মার্চ ২০২২। (ছবি- এপি)

ইসলামাবাদ—পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান রাশিয়া-ইউক্রেন সংঘাতের অবসান ঘটাতে মুসলিম দেশগুলো এবং পাকিস্তানের ঘনিষ্ঠ মিত্র চীনকে মধ্যস্থতা এবং এক সঙ্গে কাজ করার জন্য পরামর্শ দিয়েছেন।

মঙ্গলবার (২২ মার্চ) পাকিস্তানের রাজধানী ইসলামাবাদে ৫৭-দেশের অর্গানাইজেশন অব ইসলামিক কো-অপারেশন (ওআইসি) ভুক্ত দেশগুলোর পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের সম্মেলনের উদ্বোধনী অধিবেশনে ইমরান খান বলেন, “সেখানে যা ঘটছে তা নিয়ে আমরা সবাই চিন্তিত”।

ওআইসির পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের ৪৮তম অধিবেশনের উদ্বোধনী অধিবেশনে ইমরান খান তার মূল বক্তব্যে বলেন, “আমাদের চিন্তা করা উচিত...কীভাবে আমরা মধ্যস্থতা করতে পারি, কীভাবে আমরা একটি যুদ্ধবিরতি আনতে পারি”।

ইমরান খান বলেন, “চীনের সঙ্গে ওআইসি বা আমরা সবাই পদক্ষেপ নিতে পারি এবং এই সংঘাত বন্ধ করার চেষ্টা করতে পারি। যা ঘটছে, তা যদি এভাবে চলতে থাকে, তাহলে বাকি বিশ্বের জন্য চরম পরিণতি বয়ে আনবে”।

ওআইসির এই সভায় চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই বিশেষ অতিথি হিসেবে যোগ দেন এবং ভাষণ দেন। সম্মেলনে যোগদানকারী প্রায় ৬০০ প্রতিনিধিদের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্র এবং ওআইসিভুক্ত নয় এমন অন্য দেশগুলোর পাশাপাশি জাতিসংঘের রাষ্ট্রদূতরাও রয়েছেন।

উল্লেখ্য, চীন ও পাকিস্তান ইউক্রেনে রাশিয়ার আগ্রাসনের নিন্দা করেনি।

ওআইসি বৈঠকে যোগ দিতে সোমবার ইসলামাবাদে পৌঁছানোর পর ওয়াং পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী শাহ মেহমুদ কুরেশির সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। “দুই পক্ষ ইউক্রেন ইস্যুতে মতবিনিময় করেছেন এবং মস্কোর বিরুদ্ধে একতরফা নিষেধাজ্ঞার প্রভাবের বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন”, সভার পর চীনা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে বলা হয়। বেইজিং পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞাগুলোকে “আরও বেশি আক্রমণাত্মক” হয়ে উঠছে বলে নিন্দা জানায়।

আফগানিস্তান

ইমরান খান আবারও আফগানিস্তানের জন্য সমর্থন বাড়াতে আহ্বান জানান। গত অগাস্টে তালিবান দেশটির ক্ষমতা দখল করার পর থেকে দেশটি আরও মানবিক ও অর্থনৈতিক বিপর্যয়ের মুখোমুখি হয়েছে।

ইমরান খান বলেন, ইতিমধ্যে প্রতিবেশী দেশটির মানুষ দারিদ্র্যসীমার নিচে বসবাস করছে এবং সেখানে ব্রেন ড্রেন (মেধাবী জনগোষ্ঠিকে চাকরির বিনিময়ে উন্নত দেশে নিয়ে যাওয়া) শুরু হয়েছে।

“সুতরাং, আফগানিস্তানের জনগণকে সাহায্য করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কারণ একটি স্থিতিশীল আফগানিস্তান অর্জনের মাধ্যমেই আমরা আফগান মাটি থেকে আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসবাদ বন্ধ করতে সক্ষম হব”’ তিনি যোগ করেন।

কট্টরপন্থী গোষ্ঠী ক্ষমতা দখলের পর থেকে মানবাধিকার, সন্ত্রাসবাদ এবং কাবুলে অন্তর্ভুক্তিমূলক সরকারের অভাব সম্পর্কিত উদ্বেগ উল্লেখ করে বিশ্বের কোনো দেশ এখনো তালিবানকে আফগানিস্তানের বৈধ শাসক হিসেবে স্বীকৃতি দেয়নি।

XS
SM
MD
LG