চীনের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলো একটি উভয় সঙ্কটের মধ্যে পড়েছে। একদিকে ইউক্রেনে যুদ্ধের মধ্যে রাশিয়ায় ব্যবসা অব্যাহত রাখার কারণে তাদের সুনাম ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার বিশাল ঝুঁকি রয়েছে। অপরদিকে রয়েছে চীনের রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমের মস্কো-পন্থী মনোভাবের প্রভাব। তবে, এখনও পর্যন্ত প্রতিষ্ঠানগুলোর বেশিরভাগই কোন পক্ষের হয়েই মত প্রকাশ না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
ইয়েল স্কুল অফ ম্যানেজমেন্টের তথ্যমতে, ২৪ ফেব্রুয়ারি পুতিন যুদ্ধটি আরম্ভ করার পর থেকে ৪০০-রও বেশি কোম্পানী রাশিয়ার অর্থনীতি থেকে নিজেদের গুটিয়ে নেয়ার ঘোষণা দিয়েছে। তাদের বেশিরভাগই যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপীয় ইউনিয়ন, জাপান এবং দক্ষিণ কোরিয়ায় অবস্থিত।
ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলের রাজনৈতিক অর্থনীতি বিষয়ক বিশেষজ্ঞ এবং ইউনিভার্সিটি অফ সিডনির সহযোগী অধ্যাপক, সালভাতোর বাবোনেস বলেন যে, চীনের বাইরের কোম্পানীগুলো একটি ইতিবাচক ভাবমূর্তি বজায় রাখার জন্য রাশিয়া থেকে নিজেদের প্রত্যাহার করে নিয়েছে।
ভিওএ ম্যান্ডারিনকে টেলিফোনে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, “রাশিয়ায় থাকাটা ভাবমূর্তির জন্য একটি ঝুঁকি”। তিনি আরও বলেন, “রাশিয়া একটি অপেক্ষাকৃত ছোট বাজার, এবং বর্তমানে রাশিয়ার বিরুদ্ধে একটি ব্যাপক গণপ্রতিক্রিয়া রয়েছে। তারা (কোম্পানীগুলো) গ্রাহকদের চাহিদার প্রতি সাড়া দিচ্ছে”।
ড্যান হ্যারিস একজন উকিল, যিনি উদীয়মান নতুন বাজারগুলোতে ব্যবসা বিষয়ে বিশেষজ্ঞ এবং চায়না ল ব্লগ-এর সহ সম্পাদক। তিনি বলেন যে, রাশিয়ার উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপের কারণে ব্যবসার হিসাব বদলে গিয়েছে।
ভিওএ ম্যান্ডারিনকে টেলিফোনে তিনি বলেন, “যে সব কোম্পানীর বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়নি… তারা বলছে যে “আমি আর এখানে নেই” কারণ সেটিতে ভাবমূর্তির বিষয় জড়িত অথবা সেটির হিসেব মেলানোর চেষ্টা করা এবং রাশিয়াতে (মাত্র) এক লক্ষ ডলারের পণ্য বিক্রির জন্য সেই ঝুঁকি নেওয়াটা সমীচিন নয়। দেশটি থেকে বের হয়ে যাওয়াটাই সবচেয়ে সহজ ও নিরাপদ”।
তবে, চীনের বাইরের কোম্পানীগুলো রাশিয়া থেকে দ্রুত বেরিয়ে গেলেও, চীনের বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানই এখনও রাশিয়ায় ব্যবসা অব্যাহত রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে, বিশেষ করে প্রযুক্তি খাতের কোম্পানীগুলো।