অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

“সহিংসতা থামাতে” সম্মত হয়েছে টিগ্রের বিদ্রোহীরা


টিগ্রে পিপলস লিবারেশন ফ্রন্টের অনুগত যোদ্ধারা উত্তর ইথিওপিয়ার টাইগ্রে অঞ্চলে তাদের নিয়ন্ত্রিত হাউজেন শহরের একটি রাস্তা ধরে হাঁটছেন। ৭ মে ২০২১, ছবি-এপি
টিগ্রে পিপলস লিবারেশন ফ্রন্টের অনুগত যোদ্ধারা উত্তর ইথিওপিয়ার টাইগ্রে অঞ্চলে তাদের নিয়ন্ত্রিত হাউজেন শহরের একটি রাস্তা ধরে হাঁটছেন। ৭ মে ২০২১, ছবি-এপি

শুক্রবার টিগ্রের বিদ্রোহীরা “সহিংসতা বন্ধ করতে” সম্মত হয়েছে । এর একদিন পূর্বে সরকার অনির্দিষ্টকালের জন্য মানবিক যুদ্ধবিরতি ঘোষণার পরেই বিদ্রোহীদের এমন পদক্ষেপের কারণে উত্তর ইথিওপিয়ার ১৭ মাসের যুদ্ধে এক নতুন মোড় নিয়েছে

বৃহস্পতিবার প্রধানমন্ত্রী অ্যাবি আহমেদের সরকার হঠাত্

যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করে বলেছে যে, তারা আশা করে এ পদক্ষেপটি টিগ্রেতে মানবিক অধিগমন সহজ করবে এবং উত্তর ইথিওপিয়ার “ সংঘাতের সমাধানের পথ প্রশস্ত করবে”।

২০২০ সালের নভেম্বরে যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে এ অঞ্চলে হাজার হাজার মানুষ মারা গেছে এবং আরও অনেকে তাদের বাড়িঘর ছেড়ে পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়েছে কারণ এ সংঘর্ষ টিগ্রে থেকে আমহারা ও আফারের পার্শ্ববর্তী অঞ্চলে বিস্তৃত হয়েছে।

যুক্তরাষ্ট্রের অভিযোগ, অ্যাবির সরকার দুঃস্থদের কাছে সহায়তা পৌঁছাতে বাধা দেয়, অন্যদিকে কর্তৃপক্ষ বিদ্রোহীদের বাধা দেয়ার জন্য দায়ী করেছে।

৬ কোটি জনসংখ্যা অধ্যূষিত টিগ্রেতে প্রায় ৪০ শতাংশ মানুষ “চরম খাদ্যাভাব”-এর মুখোমুখি।

জানুয়ারিতে জাতিসংঘ জানিয়েছিল, জ্বালানি ঘাটতির কারণে ত্রাণ কর্মীদের পায়ে হেঁটে ওষুধ ও অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ সেবা সরবরাহ করতে বাধ্য করা হয়েছে।

পশ্চিমা দেশগুলো উভয় পক্ষকে যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হওয়ার আহ্বান জানিয়ে আসছে। আমেরিকা, ইউরোপীয় ইউনিয়ন,যুক্তরাজ্য ও কানাডা যুদ্ধবিরতির ঘোষণাকে স্বাগত জানিয়েছে।

জাতিসংঘের বিশ্ব খাদ্য সংস্থা অনুসারে, আফার, আমহারা ও টিগ্রে জুড়ে ৯০ লাখের বেশি মানুষের খাদ্য সহায়তা প্রয়োজন।

কিন্তু জ্বালানি ও সরবরাহের ঘাটতির কারণে মানবিক সহায়তাকারী সংস্থাগুলো তাদের কার্যক্রম সীমিত করতে বাধ্য হচ্ছে।

XS
SM
MD
LG