বহু শিক্ষার্থী, শিক্ষক, অবিভাবক ও সুশীল সমাজের সক্রিয়বাদীসহ বহু আফগান নারী শনিবার কাবুলে কিশোরীদের জন্য স্কুলের দরজা বন্ধ রাখার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে প্রতিবাদে অংশ নেন।
বিক্ষোভকারিরা রাজধানীর পথে পথে বই হাতে ধ্বনি তুলছিলেন, "স্কুল খুলে দাও" "বিচার চাই বিচার চাই"। অংশগ্রহণকারীদের ব্যানারে লেখা ছিল " শিক্ষা আমাদের মৌলিক অধিকার, এটা রাজনৈতিক কর্মসূচি নয় "।
ইসলামপন্থি তালিবান সরকার শীতকালীন ছুটি শেষে ২৩শে মার্চ মাধ্যমিক স্কুলগুলো খুলে দিয়েছে। এই তারিখেই বেশির ভাগ আফগান প্রদেশগুলোতে নতুন স্কুল বছর শুরু হয়।
তবে কট্টরপন্থী গ্ৰুপটি ৬ষ্ঠ শ্রেণীর উপরের ছাত্রীদের ক্লাসে ফিরে আসার সিদ্ধান্ত হঠাত্ প্রত্যাহার করে জানায় যে শারিয়া মোতাবেক ইউনিফর্মসহ ক্লাসে বসার যথাযথ ব্যবস্থা নেই বলে তারা এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
আফগানিস্তানের বেশির ভাগ এলাকায় মেয়েদের জন্য মাধ্যমিক স্কুলগুলো অগাস্ট মাস থেকে বন্ধ ছিল, যখন বর্তমানে বিলুপ্ত পশ্চিমের সমর্থনপুষ্ট সরকার থেকে তালিবান ক্ষমতা ছিনিয়ে নেয়।
প্রতিশ্রুতি থেকে সরে আসার তালিবানের এই সিদ্ধান্ত দ্রুতই আন্তর্জাতিক নিন্দার ঝড় তোলে, কারণ তালিবান সরকার মেয়েদের শিক্ষা পুনরায় শুরু করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলো।
যুক্তরাষ্ট্র প্রতিশ্রুতি প্রত্যাহারের জন তালিবানের নিন্দা জানায় এবং কাতারের রাজধানী দোহায় তালিবানের সঙ্গে নির্ধারিত আলোচনা বাতিল করে দিয়েছে।
যৌথ এক বিবৃতিতে ব্রিটেন, কানাডা, ফ্রান্স, ইতালি, নরওয়ে, যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা জানান, তালিবানের এই সিদ্ধান্ত তাদের বৈধতার ক্ষেত্রে তাদেরই ক্ষতি করবে।
৫৭টি দেশ সম্বলিত ইসলামী সহযোগীতা সংস্থা (OIC)তালিবানের এই সিদ্ধান্তে "গভীর অসন্তোষ ও হতাশা" ব্যক্ত করেছে।