অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

ইউক্রেনে মানবিক যুদ্ধবিরতি চাইবে জাতিসংঘ


অভ্যন্তরীণ বাস্তুচ্যুত লোকদের বহনকারী অপসারণ বাসগুলো ইউক্রেনের জাপোরিঝিয়াতে একটি আইডিপি কেন্দ্রে পৌঁছেছে। ২৫ মার্চ ২০২২
অভ্যন্তরীণ বাস্তুচ্যুত লোকদের বহনকারী অপসারণ বাসগুলো ইউক্রেনের জাপোরিঝিয়াতে একটি আইডিপি কেন্দ্রে পৌঁছেছে। ২৫ মার্চ ২০২২

জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস সোমবার (২৮ মার্চ) বলেছেন যে, তার সহায়তাবিষয়ক প্রধান অবিলম্বে মস্কো ও কিয়েভের সঙ্গে ইউক্রেনে মানবিক যুদ্ধবিরতির সম্ভাব্য উপায় অন্বেষণ শুরু করবেন।

“তবে একটা বিষয়ে পরিষ্কার থাকতে হবে; এই মানবিক সংকটের সমাধান মানবিক নয়, এটি রাজনৈতিক”, গুতেরেস জাতিসংঘের সদর দপ্তরে সাংবাদিকদের বলেন। “অতএব, আমি জাতিসংঘের সনদের নীতির ভিত্তিতে একটি শান্তি চুক্তিতে পৌঁছাতে আন্তরিক রাজনৈতিক আলোচনার সুযোগ তৈরি করতে অবিলম্বে মানবিক যুদ্ধবিরতির আবেদন করছি”।

তিনি বলেন যে, সহিংসতা বন্ধ হলে মানবিক সহায়তা প্রদানের এবং বেসামরিক নাগরিকদের নিরাপদে চলাফেরা করার সুযোগ তৈরি হবে। তিনি আরও বলেন, এই দুটি জিনিস ইউক্রেনের বেশির ভাগ অংশে কয়েক সপ্তাহ ধরে সম্ভব হয়নি।

“এটি জীবন বাঁচাবে, দুর্ভোগ রোধ করবে এবং বেসামরিক নাগরিকদের রক্ষা করবে”, গুতেরেস বলেছেন।

জাতিসংঘের সহায়তাবিষয়ক প্রধান মার্টিন গ্রিফিথস ইতিমধ্যেই যোগাযোগ করেছেন এবং গুতেরেস বলেন যে, তিনি আশা করেন, তিনি যত তাড়াতাড়ি সম্ভব মস্কো ও কিয়েভে সফরে যাবেন।

এক মাসের যুদ্ধে রাশিয়া ইউক্রেনে ভয়াবহ ক্ষয়ক্ষতি ও দুর্ভোগ ডেকে এনেছে। সব এলাকায় বোমা হামলা হয়েছে, এবং বেসামরিক মানুষ নিহত, আহত ও বাস্তুচ্যুত হয়েছে। প্রধান শহরগুলোর অবরোধের কারণে লাখ–লাখ মানুষ খাদ্য ও পানীয়, বিদ্যুত, জ্বালানি এবং অন্য সমস্যার সম্মুখীন হয়েছেন।

জাতিসংঘ প্রধান মৃত্যু ও ধ্বংসযজ্ঞ সম্পর্কে বলেন, “এটি অবশ্যই থামাতে হবে”।

জাতিসংঘে রাশিয়ার মিশন একটি বিবৃতিতে বলেছে, গুতেরেস ২৩ মার্চ জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে গৃহীত মানবিক প্রচেষ্টা সম্পর্কিত মস্কোর একটি প্রস্তাবকে আমলে নেয়নি এবং সে কারণে তারা দুঃখ প্রকাশ করেছে।

১৫ কাউন্সিল সদস্যদের মধ্যে ১৩ জন ভোটদানে বিরত থাকলে ওই প্রস্তাবটি গৃহীত হতে ব্যর্থ হয়। যদিও প্রস্তাবটিতে নিরাপদে সহায়তা পৌঁছানোর জন্য কিছু বিধান রয়েছে। এতে রাশিয়া যুদ্ধ বিরতির বিষয়টি বা সংকটের কারণ হিসেবে রাশিয়ার নাম উল্লেখ করেনি। শুধুমাত্র রাশিয়া ও চীন এই পদক্ষেপকে সমর্থন করেছে।


সাহায্য বিতরণ

গুতেরেস বলেছেন, সংঘাত শুরু হওয়ার পর থেকে, প্রধানত ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলে জাতিসংঘ এবং স্থানীয় সহযোগীরা প্রায় নয় লাখ লোকের কাছে সহায়তা পৌঁছে দিয়েছেন।

চলমান সহিংসতার কারণে বড় আকারের ত্রাণবাহী কনভয় প্রবেশ করতে পারছে না। তবে মহাসচিব বলেছেন যে, হাজার হাজার লোককে সহায়তা করার জন্য একটি কাফেলা সোমবার অবরুদ্ধ শহর খারকিভ পর্যন্ত পৌঁছেছে।

বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি সতর্ক করে বলেছে, সরবরাহ ব্যবস্থা ভেঙে যাওয়ায় এবং মজুতও ফুরিয়ে যাওয়ায় ইউক্রেনে খাদ্যাভাব দেখা দিয়েছে।


পারমাণবিক উদ্বেগ

ইউক্রেনে সম্ভাব্য পারমাণবিক, রাসায়নিক বা জৈবিক যুদ্ধের ক্রমবর্ধমান উদ্বেগ সম্পর্কেও জাতিসংঘ প্রধানকে জিজ্ঞাসা করা হয়েছিল। তিনি বলেছেন যে, তিনি সোমবার সকালে আন্তর্জাতিক পারমাণবিক শক্তি সংস্থার প্রধানের সঙ্গে কথা বলেছেন এবং পরমাণু পর্যবেক্ষণ সংস্থা ইউক্রেনের অভ্যন্তরে পারমাণবিক স্থাপনার নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য আগামী দিনে বেশ কয়েকটি উদ্যোগের পরিকল্পনা করছে

XS
SM
MD
LG