বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকার বাতাসের মান এখনো “অস্বাস্থ্যকর”। বুধবার (৩০ মার্চ) সকাল ১০টা ১৫ মিনিটে ঢাকা শহরের এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স (একিউআই) ১৯৫ রেকর্ড করা হয়েছে। বর্তমানে দূষিত শহরের তালিকায় রাজধানী ঢাকার অবস্থান দ্বিতীয় ।
ভারতের দিল্লি ও পাকিস্তানের লাহোর যথাক্রমে একিউআই ২২৫ ও ১৮২ স্কোর নিয়ে প্রথম ও তৃতীয় স্থানে রয়েছে।
বিশেষ করে সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য একিউআই স্কোর ১০১ থেকে ২০০ হলে “খারাপ” বলে মনে করা হয়।
২০১ থেকে ৩০০–এর মধ্যে একিউআই স্কোর “বেশি খারাপ” এবং ৩০১ থেকে ৪০০ স্কোর “ঝুঁকিপূর্ণ” বলে বিবেচিত হয়, যা মানুষের জন্য গুরুতর স্বাস্থ্য ঝুঁকি তৈরি করে।
প্রতিদিনের বাতাসের মান নিয়ে তৈরি করা একিউআই সূচক একটি নির্দিষ্ট শহরের বাতাস কতটুকু নির্মল বা দূষিত সে সম্পর্কে মানুষকে তথ্য দেয় এবং তাদের জন্য কোন ধরনের স্বাস্থ্য ঝুঁকি তৈরি হতে পারে তা জানায়।
বাংলাদেশে একিউআই নির্ধারণ করা হয় দূষণের পাঁচটি ধরনকে ভিত্তি করে—বস্তুকণা (পিএম১০ ও পিএম২.৫), এনও২, সিও, এসও২ এবং ওজোন (ও৩)।
ঢাকা দীর্ঘদিন ধরে বায়ু দূষণে রয়েছে। এর বাতাসের গুণমান সাধারণত শীতকালে অস্বাস্থ্যকর হয়ে যায় এবং বর্ষাকালে কিছুটা উন্নত হয়।
২০১৯ সালের মার্চ মাসে পরিবেশ অধিদপ্তর ও বিশ্বব্যাংকের একটি প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে যে, ঢাকার বায়ু দূষণের তিনটি প্রধান উৎস হলো ইটভাটা, যানবাহনের ধোঁয়া ও নির্মাণ সাইটের ধুলো।
জাতিসংঘের তথ্যমতে, বিশ্বব্যাপী প্রতি ১০ জনের মধ্যে ৯ জন দূষিত বাতাসে শ্বাস নেন এবং বায়ু দূষণের কারণে প্রতি বছর প্রধানত নিম্ন ও মধ্য আয়ের দেশে আনুমানিক ৭০ লাখ মানুষের অকাল মৃত্যু ঘটে।