অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

চলতি বছরের শেষে যান চলাচলের জন্য পদ্মা সেতু খুলে দেওয়া হবে—প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা


বাংলাদেশ জাতীয় সংসদে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা
বাংলাদেশ জাতীয় সংসদে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, তার সরকারের স্বপ্নের প্রকল্প পদ্মা সেতু চলতি বছরের শেষ নাগাদ যান চলাচলের জন্য খুলে দেওয়া হবে।

বুধবার (৬ এপ্রিল) বাংলাদেশ জাতীয় সংসদে প্রধানমন্ত্রীর প্রশ্নোত্তর পর্বে ক্ষমতাসীন দলের সংসদ সদস্য (নওগাঁ-২) শহীদুজ্জামান সরকারের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।

শেখ হাসিনা বলেন, “পদ্মা সেতু বাংলাদেশের মতো উন্নয়নশীল দেশের ইতিহাসে সবচেয়ে চ্যালেঞ্জিং প্রকল্প। বাংলাদেশের কেন্দ্রের সঙ্গে দক্ষিণের জেলাগুলোর মধ্যে সংযোগকারী ৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটার দীর্ঘ এই সেতু নির্মাণ তার সরকারের একটি সাহসী পদক্ষেপ, যা অনেক বাধা অতিক্রম করেছে”।

তিনি জানান, প্রকল্পের দুই প্রান্তে অ্যাপ্রোচ রোড ও সার্ভিস এরিয়া নির্মাণের শতভাগ কাজ শেষ হয়েছে। মূল সেতুর ভৌত কাজ ৯৬ দশমিক ৫০ শতাংশ শেষ হয়েছে। বর্তমানে কার্পেটিং, ভায়াডাক্ট কার্পেটিং, ওয়াটারপ্রুফ মেমব্রেন, মূল সেতু ও ভায়াডাক্টের মুভমেন্ট জয়েন্ট, ল্যাম্পপোস্ট, অ্যালুমিনিয়াম রেলিং, গ্যাস পাইপলাইন, ৪০০ কেভিএ বিদ্যুৎ ও রেললাইনের কাজ চলছে।

তিনি সংসদকে আরও জানান, পদ্মা সেতু প্রকল্পের সংশোধিত বাজেট দাঁড়িয়েছে ৩০ হাজার ১৯৩ কোটি ৩৯ লাখ টাকা।

শেখ হাসিনা আরও বলেন, দেশের উন্নয়নে সরকারের নেয়া ১৭টি উল্লেখযোগ্য মেগা প্রকল্পের কাজ চলছে।

ইতিপূর্বে বিভিন্ন অনুষ্ঠানে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের জানিয়েছিলেন, চলতি বছরের জুনে পদ্মা সেতু যান চলাচলের জন্য খুলে দেওয়া হবে।

সরকারি হস্তক্ষেপে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের দাম কমেছে

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, রাষ্ট্র পরিচালিত ট্রেডিং করপোরেশনের (টিসিবি) মাধ্যমে সম্প্রতি ন্যায্যমূল্যে পণ্য বিক্রির কারণে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম উল্লেখযোগ্যহারে কমেছে।

বুধবার সংসদে প্রধানমন্ত্রীর প্রশ্নোত্তর পর্বে ক্ষমতাসীন দলের সংসদ সদস্য কাজিম উদ্দিন আহমেদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।

শেখ হাসিনা বলেন, “করোনাভাইরাসজনিত অর্থনৈতিক মন্দার কারণে সারা বিশ্বে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের দাম উল্লেখযোগ্য হারে বেড়েছে। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ জ্বালানির দামও বাড়িয়ে দিয়েছে। ফলে বিশ্ববাজারে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দামও বেড়েছে”।

তিনি বলেন, তার সরকার পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এবং দাম নিয়ন্ত্রণে ও সহনীয় পর্যায়ে রাখতে তাৎক্ষণিক পদক্ষেপ নিয়েছে। সরকারের বিভিন্ন পদক্ষেপের কারণে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম এখন সহনীয় পর্যায়ে রয়েছে।

পবিত্র রমজান মাসে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম সহনীয় ও সাশ্রয়ী পর্যায়ে থাকবে বলেও তিনি আশা প্রকাশ করেন।

তিনি বলেন, ১ মার্চ ১৭০ টাকায় বিক্রি হওয়া এক লিটারের সয়াবিন তেল ৫ এপ্রিল থেকে পাওয়া যাচ্ছে ১৬১ টাকা ৫০ পয়সায়। এ সময় খুচরা সয়াবিন তেলের দাম লিটার প্রতি ১৭৫ টাকা থেকে কমে ১৫৫ টাকা এবং পাম তেলের দাম ১৫৮ টাকা থেকে কমে ১৪২ টাকায় নেমে আসে। কিন্তু টিসিবি এই সময়ে বোতলজাত সয়াবিন প্রতি লিটার ১১০ টাকায় বিক্রি করেছে।

XS
SM
MD
LG