অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

মালিতে কথিত গণহত্যার স্থানে প্রবেশের দাবি জাতিসংঘের


ফাইল ফটো - মালিতে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশন মিনুসমার সৈন্যরা ২৪শে জুলাই ২০১৯ সালে গাও নামক রাস্তায় পাহারা দেয়
ফাইল ফটো - মালিতে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশন মিনুসমার সৈন্যরা ২৪শে জুলাই ২০১৯ সালে গাও নামক রাস্তায় পাহারা দেয়

মালিতে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশন যারা সেখানে ফরাসিআদ্যাক্ষরে মিনুসমা (MINUSMA) হিসেবে পরিচিত তারা দেশটির সামরিক সরকারকে মৌরা গ্রামে প্রবেশের অনুমতি দেয়ার দাবি জানিয়েছে। মানবাধিকার গোষ্ঠীগুলিএবং প্রত্যক্ষদর্শীরা বলছেন যে মালির সেনাবাহিনী এবং রাশিয়ার ভাড়াটে সৈন্যরা মার্চের শেষের দিকে সন্ত্রাসবাদ বিরোধী অভিযানের সময় শত শত বেসামরিক নাগরিককে হত্যা করেছিল।

মালিতে জাতিসংঘের শীর্ষ দূত এল-ঘাসিম ওয়েনবৃহস্পতিবার জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদকে বলেন, মালির সামরিক সরকার এখন পর্যন্ত তাদের ঐ অনুরোধ প্রত্যাখ্যান করেছে।

ওয়েন এক বিবৃতিতে বলেন, মিনুসমাকে(MINUSMA)এপ্রিলমাসের ৩ তারিখেকেবলমাত্র ঐ এলাকারউপর দিয়ে উড়ে যাওয়ার অনুমতি দেয়া হয়েছিল এবং তা ছিল "অপরিহার্য"কারণ নির্দেশ অনুযায়ী কর্তৃপক্ষকে ঐ অনুমতি দিতে হয়েছিল।

বৃহস্পতিবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে মিনুসমাপুনরায় মৌরায় "মানবাধিকার এবং আন্তর্জাতিক মানবিক আইনের গুরুতর লঙ্ঘনের অভিযোগে গভীর উদ্বেগ" প্রকাশ করেছে।

মালির সেনাবাহিনী পয়লা এপ্রিল দাবি করেছে যেমার্চের শেষের দিকে অভিযান চালিয়ে তারা ২০৩ জন “সন্ত্রাসীকে” হত্যা করেছে।

তবে হিউম্যান রাইটস ওয়াচ মঙ্গলবার এক প্রতিবেদনে প্রত্যক্ষদর্শীদের উদ্ধৃতি দিয়ে বলেছে, মালির সেনাবাহিনী ও বিদেশি যোদ্ধা যাদের রাশিয়ান যোদ্ধা হিসেবে সনাক্ত করা হয়েছে তারাতিন’শ জন বেসামরিক নাগরিককে হত্যা করেছে। যারা প্রাণ হারিয়েছে তাদের মধ্যে কেউ কেউ সন্দেহভাজন ইসলামপন্থীযোদ্ধা ছিল।

বামাকোর দাবি যে ইসলামপন্থী বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে সহায়তা করার জন্য রাশিয়া মালিতে সামরিক “প্রশিক্ষক” পাঠিয়েছে।

ইউরোপীয় সরকার এবং যুক্তরাষ্ট্র বলছে যে ঐসব রাশিয়ান ক্রেমলিনের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ওয়াগনার গ্রুপের ভাড়াটে সৈন্য। জাতিসংঘের বিশেষজ্ঞরা অভিযোগ করেছেন যে ঐসব সৈন্যরা সিরিয়া থেকে শুরু করে মধ্য আফ্রিকান প্রজাতন্ত্র পর্যন্ত অসংখ্য অত্যাচার চালিয়েছে।

ভিওএ নিরাপত্তার কারণে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ব্যক্তির সাথে কথা বলেছে, যাকে মৌরায় ঐ অভিযানের সময় পাঁচ দিনের জন্য অন্যদের সাথে আটক রাখা হয়েছিল।

তিনি বলেন, তিনি“শ্বেতাঙ্গ সৈন্যদের” দেখেছেন যারা ফরাসি বা ইংরেজিতে কথা বলে না।তারা বিভিন্ন দলে লোকজনকে ভাগ করছিল ।

তিনি বলেন, এরপর তিনি মালির সশস্ত্র বাহিনীকে ১২ থেকে ১৫ জনকে হত্যা করতে দেখেছেন।

মালিতে জাতিসংঘ মিশনের অতীতে করা তদন্তগুলোতে দেখা গেছে যে বেসামরিক নাগরিকদের প্রায়শই ভুলভাবে জঙ্গি হিসাবে লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত করা হয়।

মিনুসমা'র তদন্তকারীরা এক বছর আগে জানতে পেরেছিলেন যে মালির বাউন্টি গ্রামের কেন্দ্রস্থলেফরাসী বিমান হামলায় ১৯ জন নিহত হয় যার মধ্যে ১৬ জনই ছিলবেসামরিক নাগরিক।

XS
SM
MD
LG