অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

বরিশালে হোটেলের ভাড়ার জন্য লাঠির আঘাতে মাছ ব্যবসায়ীকে হত্যার অভিযোগ


বাংলাদেশের বরিশাল জেলায় হোটেলের ভাড়ার জন্য রুবেল খন্দকার (৩০) নামে একজন মাছ ব্যবসায়ীকে লাঠির আঘাতে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। বকেয়া ভাড়ার মাত্র চার শ টাকা নিয়ে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে আবাসিক হোটেল স্বাধীন পার্কের ম্যানেজার আনিছুর রহমান লাঠি দিয়ে রুবেল খন্দকারের মাথায় আঘাত করেন। এতে রুবেল খন্দকার অজ্ঞান হয়ে যান। এরপর আনিছুর শ্বাসরোধ করে রুবেলের মৃত্যু নিশ্চিত করেন।

এ ঘটনায় আটক অভিযুক্ত আনিছুর রহমান শুক্রবার (৮ এপ্রিল) সকালে বরিশাল মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক আল ফয়সালের কাছে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।

শনিবার সকালে এ তথ্য জানিয়েছেন কোতয়ালি মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) লোকমান হোসেন।

গ্রেপ্তার আনিছুর রহমান বরিশাল সদর উপজেলার চন্দ্রমোহন ইউনিয়নের ভেদুরিয়া গ্রামের নূর মোহাম্মদ জোমাদ্দারের ছেলে ও হোটেল স্বাধীন পার্কের ম্যানেজার।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা উপপরিদর্শক (এসআই) বিজয় মন্ডল বলেন, “মাছ ব্যবসার কারণে প্রায় রাতে রুবেল খন্দকার হোটেল স্বাধীন পার্কে অবস্থান করতেন। এর অংশ হিসেবে ঘটনার দিন মঙ্গলবার (৫ এপ্রিল) দুপুরে রুবেল ওই হেটেলের দ্বিতীয় তলার একটি কক্ষ ভাড়া নেন। তখন ম্যানেজার আনিছুর রহমান হোটেলের রুম ভাড়ার চার শ টাকা চাইলে রুবেল পরে দেবে বলে জানায়। ওই দিন বিকেল ৪টার দিকে রুমে গিয়ে তার কাছে ফের ভাড়ার টাকা চাইলে হোটেল ম্যানেজারের সঙ্গে বাকবিতণ্ডায় জড়ান রুবেল। এর এক পর্যায়ে লাঠি দিয়ে রুবেলের মাথায় আঘাত করেন আনিছুর। এতে রুবেল অজ্ঞান হয়ে গেলে তাকে শ্বাসরোধ করে খুন করা হয়। লাশ হোটেলের রুমে রেখে ওই দিন সন্ধ্যায় স্থানীয় ব্যবসায়ীদের নিয়ে বিষয়টি মীমাংসার চেষ্টা করলে বিষয়টি প্রকাশ্যে আসে”।

বিজয় মন্ডল আরও জানান, খবর পেয়ে মঙ্গলবার রাতে লাশ উদ্ধারে জন্য হোটেলের ওই রুমে গেলে তারা রুবেলের লাশ পড়ে থাকতে দেখতে পান। তখন তার ডান কান থেকে রক্ত ঝরছিল। ডান কানসংলগ্ন মাথায় হালকা আঘাত ও গলায় দুটি দাগ দেখতে পান। তখন বিষয়টি অস্বাভাবিক হিসেবে চিহ্নিত করে তদন্ত শুরু করলে মাত্র দুই দিনের মধ্যে ঘটনার রহস্য উন্মোচিত হয়। বৃহস্পতিবার (৭ এপ্রিল) বিকেলে রূপাতলী টেম্পোস্টান্ড থেকে অভিযুক্ত আনিছুর রহমানকে আটক করা হয়।

আটকের পর নিহত রুবেলের স্ত্রীর দায়ের করা মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে বরিশাল মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করলে আনিছুর স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। জবানবন্দি গ্রহণ শেষে বিচারক আল ফয়সাল তাকে কারাগারে পাঠান।

কোতোয়ালি মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) লোকমান হোসেন জানান, ঘটনার মাত্র দুই দিনের মধ্যে খুনের রহস্য উন্মোচন করা হয়েছে। প্রাথমিক তদন্তে এ ঘটনায় অন্য কেউ জড়িত থাকার বিষয় উঠে আসেনি।

XS
SM
MD
LG