কেয়াফুরি স্কুলের প্রধান শিক্ষক মোহাম্মদ শোইফ যখন নবম শ্রেণির পরীক্ষার প্রশ্ন ছাপছিলেন তখন সশস্ত্র পুলিশ রোহিঙ্গা শরণার্থীদের জন্য বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় বেসরকারি স্কুলে তার অফিসে অভিযান চালায়।
গত বছর নিহত একজন রোহিঙ্গা নেতা ২০১৯ সালে এই মাধ্যমিক বিদ্যালয়টি স্থাপন করেন। রোহিঙ্গা ক্যাম্পে পুলিশের বন্ধ করে দেওয়া বা ডিসেম্বর থেকে পুলিশের বাধার মুখে নিজে নিজে বন্ধ হয়ে যাওয়া প্রায় ৩০টি স্কুলের মধ্যে এটি সর্বসাম্প্রতিক ।
হিউম্যান রাইটস ওয়াচ দাবি করেছে, বাংলাদেশের কর্মকর্তারা রোহিঙ্গা শরণার্থীদের শনাক্তকরণ নথি বাজেয়াপ্ত করার এবং স্কুলগুলোর ওপর আরোপিত নিষেধাজ্ঞা লঙ্ঘন করলে তাদের জোরপূর্বক একটি প্রত্যন্ত, বন্যাপ্রবণ দ্বীপে স্থানান্তর করার হুমকি দিয়েছে।
নিজেদের পক্ষে কর্তৃপক্ষ বলেছে, তারা শুধু “অবৈধ স্থাপনা”-র কার্যক্রম বন্ধ করেছে। ভয়েস অফ আমেরিকাকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে অতিরিক্ত শরণার্থী, ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার মোহাম্মদ শামসুদ দৌজা বলেছেন, কেয়াফুরি স্কুলটি পরিচালনার অনুমতি ছিল না এবং এর কিছু শিক্ষক সরকারি ভাষা বাংলা পড়াচ্ছিলেন যা রোহিঙ্গাদের বাঙালিদের সাথে মিশে যাওয়া ও বাংলাদেশে স্থায়ীভাবে অবস্থান করা থেকে বিরত রাখতে সরকার তার প্রচেষ্টার অংশ হিসেবে নিষিদ্ধ করেছে।
দৌজা বলেন, ইউনিসেফ রোহিঙ্গা শিশুদের শিক্ষাদানে নেতৃত্ব দিচ্ছে এবং ক্যাম্পের অভ্যন্তরে হাজার হাজার শিক্ষাকেন্দ্র ও স্কুল পরিচালনা করছে।
রোহিঙ্গা এডভোকেসি গ্রুপ “আরাকান রোহিঙ্গা সোসাইটি ফর পিস এন্ড হিউম্যান রাইটস”-এর নেতা আবদুর রহিম ভয়েস অফ আমেরিকাকে বলেন, ১৪ থেকে ১৮ বছর বয়সী অর্থাৎ স্কুল যাওয়ার উপযুক্ত বয়সের হাজার হাজার শিশুর জন্য শিবিরের অভ্যন্তরে কোনো শিক্ষার সুবিধা নেই।তিনি বলেন, “তাদের ভবিষ্যৎ অন্ধকার।”