যুক্তরাষ্ট্রের ভাইস প্রেসিডেন্ট কামালা হ্যারিস শুক্রবার হোয়াইট হাউজ সংলগ্ন তার আনুষ্ঠানিক কার্যালয়ে তানজানিয়ার প্রেসিডেন্ট সামিয়া সুলুহু হাসানের সংগে সাক্ষাত করেছেন। এ ছিল একটি ঐতিহাসিক বৈঠক যা তানজানিয়ার প্রথম নারী নেতা এবং আমেরিকার প্রথম নারী ভাইস প্রেসিডেন্টের মধ্যে হলো।
বৈঠকের আগে হ্যারিস সাংবাদিকদের সামনে আলোচনার তিনটি বিষয় তুলে ধরেন: গণতন্ত্র, বিনিয়োগ ও অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি এবং বৈশ্বিক স্বাস্থ্যকে শক্তিশালী করা।
কামালা হ্যারিস বলেন, “আমাদের প্রশাসন তানজানিয়া এবং সাধারণভাবে আফ্রিকার দেশগুলির সাথে সম্পর্ক জোরদার করতে গভীরভাবে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।” হ্যারিস বলেন,“এটা প্রেসিডেন্ট (জো বাইডেন) এবং আমার উভয়ের জন্য মনোযোগের কেন্দ্র এবং অগ্রাধিকারের বিষয় ।”
২০২১ সালের মার্চে জন মাগুফুলি মারা যাওয়ার পর ভাইস প্রেসিডেন্টের পদ থেকে তিনি প্রেসিডেন্ট হন। হাসান ইঙ্গিত দিয়েছেন যে তিনি তানজানিয়ার পররাষ্ট্রনীতিকে অন্তর্মুখী না করে আরও বেশি বিদেশী বিনিয়োগ আকর্ষণের দিকে নিয়ে যেতে চান। এই লক্ষ্যে তিনি বেইজিং, লন্ডন, ব্রাসেলস, মস্কো ও উপসাগরীয় অঞ্চলের নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন।
প্রেসিডেন্ট হাসান কামালা হ্যারিসকে বলেন,“আমার সরকার আমাদের সম্পর্ককে আরও বাড়তে এবং আরও উচ্চ পর্যায়ে শক্তিশালী করতে দেখতে চায়। এখানে আমার একটাই অনুরোধ, যুক্তরাষ্ট্র থেকে বেসরকারি খাতে আমাদের সঙ্গে কাজ করতে উৎসাহিত করার জন্য যুক্তরাষ্ট্র সরকারের প্রতি আহ্বান জানান।”