অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

নওগাঁয় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত পলাতক জঙ্গি সংগঠনের নেতা গ্রেপ্তার


গ্রেপ্তার মো. সানোয়ার হোসেন ওরফে আ. রউফ (৪৪)
গ্রেপ্তার মো. সানোয়ার হোসেন ওরফে আ. রউফ (৪৪)

বাংলাদেশের নওগাঁ জেলা থেকে নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সংগঠন জামায়াতুল মুজাহিদিন বাংলাদেশের (জেএমবি) মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত পলাতক নেতাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। শনিবার (১৬ এপ্রিল) রাতে নওগাঁর পত্নীতলা থানার নজিপুর পৌর এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে এন্টি টেররিজম ইউনিট (এটিইউ)।

গ্রেপ্তার মো. সানোয়ার হোসেন ওরফে আ. রউফ (৪৪) চাঁপাইনবাবগঞ্জের নাচোল উপজেলার চাঁদপাড়া গ্রামের এরশাদ আলীর ছেলে।

রবিবার (১৭ এপ্রিল) দুপুরে নওগাঁর পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এন্টি টেররিজম ইউনিটের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আখিউল ইসলাম এ তথ্য জানিয়েছেন।

তিনি জানান, মো. সানোয়ার হোসেন ২০০০ সালের পরে শায়খ আব্দুর রহমানের নেতৃত্বে জেএমবির সদস্যভুক্ত হন। তখন তিনি পেশায় হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসক ছিলেন। জেএমবির সদস্য হওয়ার পর নাচোল ও গোমস্তাপুরে জেএমবির প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ২০০৭ সালে জেএমবির আমির শায়খ আবদুর রহমানের ফাঁসি হলে মাওলানা সাইদুর রহমান জেএমবির আমির হন। এরপর নেতৃত্ব নিয়ে জেএমবির মধ্যে অন্তর্কোন্দল শুরু হয়। এই অন্তর্কোন্দলের জেরে ২০১২ সালের ২৬ এপ্রিল সানোয়ার ও তার সহযোগীরা প্রতিপক্ষ গ্রুপের জেএমবি সদস্য সালমানকে নাচোলের খুলশী বোরিয়া এলাকার একটি আমবাগানে নিয়ে গিয়ে গলা কেটে হত্যা করেন।

তিনি জানান, সানোয়ার হোসেনের বিরুদ্ধে ২০১২ সালে হত্যা মামলা হয়। ওই মামলায় গ্রেপ্তার হওয়ার কিছু দিন পর সানোয়ার জামিনে মুক্ত হন। তারপর থেকে তিনি পলাতক ছিলেন। ২০১৯ সালের ২৫ নভেম্বর চাঁপাইনবাবগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালত সালমান হত্যা মামলায় পলাতক সানোয়ারসহ তিনজনকে মৃত্যুদণ্ড দেন।

আখিউল ইসলাম জানান, সানোয়ার হোসেন ১০ বছর ধরে চাঁপাইনবাবগঞ্জ ও নওগাঁর বিভিন্ন এলাকায় আত্মগোপনে থেকে পুরাতন জেএমবিকে সক্রিয় করার কাজ করে যাচ্ছিলেন। তিনি নওগাঁ জেলার পত্নীতলা থানার ছোট চাঁদপুর এলাকায় আব্দুল্লাহ নামে আত্মগোপন করে পালিয়ে ছিলেন। সেখানে তিনি রাজমিস্ত্রী হিসেবে কাজ করার পাশাপাশি ভেড়া লালনপালন করতেন।

তিনি আরও জানান, সানোয়ারের বিরুদ্ধে চাঁপাইনবাবগঞ্জের নাচোল থানায় সন্ত্রাস বিরোধী আইনে দুটি গ্রেপ্তারি পরোয়না মূলতবি আছে। এ ছাড়া চাঁপাইনবাবগঞ্জের গোমস্তাপুর থানায় ২০১৪ সালের একটি মামলা রয়েছে।

XS
SM
MD
LG